অনলাইন ডেস্ক: ব্রিটেনের নির্বাচনে বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি বড় জয় পেয়েছে। ৩৬৫টি আসনে জয়ী হয়ে দলটি একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করবে। বিরোধী দল লেবার পার্টি ২০৩, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি ৪৮, লিবারেল ডেমোক্র্যাটরা পেয়েছে ১১ আসন। এছাড়া আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) ৮টি আসনে জয়ী হয়েছে।
ব্রিটেনের নির্বাচনে কনজারভেটিভ দলের অসামান্য জয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিসন জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) পাঠানোর এক শুভেচ্ছা বার্তায় প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানান। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে একথা জানা গেছে।
১২ ডিসেম্বরের নির্বাচনের ফলাফলকে দলটির নেতৃত্বের প্রতি যুক্তরাজ্যের জনগণের অসাধারণ আস্থা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতিফলন হিসেবে শেখ হাসিনা বিবেচনা করছেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দৃঢ়তা, গণতন্ত্রের সাধারণ মূল্যবোধ, সহিষ্ণুতা, জলবায়ু পরিবর্তন, সন্ত্রাস মোকাবিলা ও সমৃদ্ধ অগ্রগতির ভিত্তিতে উভয় দেশের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী পুনরায় মনে করিয়ে দেন যে, বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে যুক্তরাজ্য নিবিড়ভাবে জড়িত।
প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে যুক্তরাজ্য সরকার ও জনগণের সহযোগিতার কথাও তুলে ধরেন। পাকিস্তানের কারাগার থেকে কোনও বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্যও যুক্তরাজ্যের প্রতিশ্রুতি রক্ষার কথাও মনে করিয়ে দেন।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বরিস জনসনের বাংলাদেশ ও রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের নিপীড়নের জন্য মিয়ানমারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে এবং নিরাপদে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্য সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সহযোগিতা করবে। রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যকার বহুমাত্রিক সম্পর্ক নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে তিনি আগামী ২০২০ সালে মুজিববর্ষ উদযাপনের আয়োজনে অংশ নিতে বাংলাদেশ সফরের জন্য বরিস জনসনকে আন্তরিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।