জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে আগামী রোববার (২২ ডিসেম্বর)। সেদিন দুপুর আড়াইটায় কমিশনের ৫৭তম সভা অনুষ্ঠিত হবে। ওই সভা শেষে তফসিল ঘোষণা হতে পারে বলে ইসির একাধিক সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে।
এর আগে কমিশনের ৫৬তম সভায় নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর জানিয়েছিলেন, ‘ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে হবে। দিন-তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। আগামী সভায় বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে আশা করি।’
সূত্র জানায়, রোববার (২২ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার জন্য গত বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সভার নোটিশ জারি করা হয়েছে। সভার আলোচ্য সূচিতে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনসহ বেশকিছু বিষয় রয়েছে।
জানা যায়, সিইসির সভাপতিত্বে রোববার অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হতে পারে ঢাকার দুই সিটির ভোটগ্রহণের তারিখ, মনোনয়পত্র দাখিল, প্রত্যাহার ও যাচাই-বাছাইয়ের দিনক্ষণ।
সূত্র জানায়, ভোট গ্রহণের সম্ভাব্য তারিখ ২৩, ২৬ ও ৩০ জানুয়ারি ধরে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসি। এজন্য ৪০-৪৫ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করা হবে। বিদ্যমান ভোটার তালিকা দিয়েই এ দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচন হবে ইভিএম পদ্ধতিতে।
জানা যায়, মূলত সেনাবাহিনীর শীতকালীন মহড়ার কারণে ভোটের সময় কিছুটা পেছানো হয়েছে। কারণ ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পরিচালনায় সহায়তা করবে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে গঠিত টেকনিক্যাল টিম।
সম্প্রতি দুই সিটির সম্প্রসারিত ১৮টি করে মোট ৩৬টি ওয়ার্ডের সংরক্ষিতসহ ৪৮ কাউন্সিলর জানুয়ারিতে নির্বাচন না করতে কমিশনে আবেদন করেন। এছাড়া সেসব ওয়ার্ডে নির্বাচন করলে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও জানান তারা।
এ বিষয়ে সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে আইনি কোনো জটিলতা নেই। তাদের আবেদন কমিশনে উপস্থাপন করেছিলাম। কমিশন জানিয়েছে, পরিষদ ভেঙে গেলে নির্বাচিতদের মেয়াদও শেষ হবে।
ইতিমধ্যে ঢাকার দুই সিটির ভোটের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর নির্বাচন উপযোগী হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। ১৮ নভেম্বর নির্বাচন ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণের।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচন হয়। নির্বাচনের পর ঢাকা উত্তর সিটির প্রথম সভা হয় ওই বছরের ১৪ মে, দক্ষিণ সিটিতে ১৭ মে। এ হিসাবে ঢাকা উত্তরের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, আর দক্ষিণের একই বছরের ১৬ মে।
স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন ২০০৯ অনুযায়ী, মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
ঢাকা উত্তরে ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১। সাধারণ ওয়ার্ড ৫৪টি এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১৮টি। সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৩৪৯ এবং ভোটকক্ষ ৭ হাজার ৫১৬টি। দক্ষিণে ভোটার রয়েছেন ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮। সাধারণ ওয়ার্ড ৭৫টি এবং সংরক্ষিত ২৫। সম্ভাব্য ভোট কেন্দ্র এক হাজার ১২৪ এবং ভোটকক্ষ ৫ হাজার ৯৯৮।