বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়ায় গত কয়েকদিনের প্রচণ্ড শীতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১২.৪ ডিগ্রির মধ্যে রয়েছে। শহরের হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড় বেড়েছে। শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে স্টেশন, মাঠ, টার্মিনাল ও রোড ডিভাইডারসহ বিভিন্ন খোলা স্থানে আশ্রয় নেওয়া ছিন্নমূল মানুষের।
সরকারিভাবে ইতোমধ্যে জেলায় প্রায় ৬৬ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। নতুন করে আরও ৩৬ হাজার কম্বলের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা শাফিউল কাফি জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সন্ধ্যা ৬টায় সর্বোচ্চ ২২.৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। ২৬ ডিসেম্বর একই সময়ে সর্বনিম্ন ১১ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ২৩.৫ ডিগ্রি এবং ২৭ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন ১২.৪ ডিগ্রি ও সর্বোচ্চ ১৪.৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে।
সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, শুক্রবার সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রার মধ্যে পার্থক্য কম থাকায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ ও ঢাকায় বৃষ্টি হওয়ায় এ অবস্থা আগামী দু-একদিন বিরাজ করতে পারে। দিনে বিক্ষিপ্তভাবে সূর্য দেখা গেলেও রাতে বেশি শীত করবে। এরপর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও আবারও বেশি শীত অনুভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বগুড়ায় শৈত্যপ্রবাহ না হলেও নিম্নস্তরের মেঘের প্রভাবে ঘন কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ার কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
এদিকে প্রচণ্ড শীতের কারণে ছিন্নমূল জনগণ দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শীতবস্ত্রের জন্য তারা বিভিন্ন স্থানে ধরনা দিচ্ছেন। শহরের হকার্স মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে গরম কাপড় কিনতে জভিড় বাড়ছে। চাহিদা বেশি হওয়ায় দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আজাহার আলী মণ্ডল জানান, ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে গত নভেম্বরে প্রথম দফায় ১০ হাজার ৫০০ পিস এবং দ্বিতীয় দফায় ৫৫ হাজার ২০০ পিস কম্বল এসেছে। চলতি মাসে জেলা ও উপজেলায় কম্বলগুলো বিতরণ করা হয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর নতুন করে প্রতি পৌরসভা ও ইউনিয়নের জন্য ৩০০ পিস করে (১২ পৌরসভা ও ১০৮ ইউনিয়নের জন্য) ৩৬ হাজার পিস কম্বলের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। এই কম্বল এলে হতদরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করা হবে।