বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:০৩ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::

শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবেন প্রাথমিকের ক্লাস শিক্ষকরাই

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৯
  • ৩১৯ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করবেন। এ জন্য প্রশ্নপত্র প্রণয়ন পদ্ধতির ওপর তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণও দেয়া হবে। সম্প্রতি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মাসিক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশ্নপত্র তৈরিতে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষকরা নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে সক্ষম হবেন। বর্তমানে শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে প্রাথমিকের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়ে থাকে।

শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হলে শিক্ষকরা নিজ শিক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে পারবেন। শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের শিক্ষকদেরও এ প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। একই সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে শিক্ষকদের সক্ষম করে তোলা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে বিদ্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেন্টররা (সরকারি কর্মকর্তারা) এ প্রশিক্ষণ পর্যবেক্ষণ করবেন।

সভা সূত্রে আরও জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সকল বিদ্যালয়ে ‘ওয়ান ডে ওয়ান ওয়ার্ড’ কর্মসূচি বাস্তাবয়নে শ্রেণিভিত্তিক সাবলীল ও দুর্বল শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়ন করা হবে। দুর্বল শিক্ষার্থীদের প্রতি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে তার অগ্রগতি জানাতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বদরুল হাসান বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বিষয় ভিত্তিক দক্ষতার অভাব রয়েছে। শিক্ষকদের স্বল্প মেয়াদে যে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তা পর্যাপ্ত নয়। তাই মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষকদের শতভাগ দক্ষ ও অভিজ্ঞ করে তোলা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, শিক্ষকদের দক্ষ করে তুলতে তাদের বিষয় ভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তার সঙ্গে নিজ নিজ শিক্ষকদের দ্বারা তাদের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি করার দায়িত্ব দেয়া হবে। সে জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।

বদরুল হাসান বাবুল আরও বলেন, ক্লাসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমন্বয় আনতে দুর্বল শিক্ষার্থীদের আলাদা করে তাদের বিশেষ যত্ন নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিশেষ যত্নের মাধ্যমে তাদের দুর্বলতা কাটবে। এসব কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত মেন্টরদের নজরদারি করার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

আজ থেকে স্কুলে ভর্তি আবেদন শুরু, নেই মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটা সিটিজেন প্রতিবেদকঃ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এই প্রক্রিয়া চলবে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই ও ভর্তি করানো হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—এবার ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বয়স জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন—২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম-নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দক্রম দেওয়া যাবে অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি কোনো স্কুলেই একটি শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়া ঢাকা মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়া থেকে শূন্য আসনের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার এ কোটা সুবিধা পেতে অনলাইনে আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্বাচন করতে হবে। ডিজিটাল লটারি ও ফল প্রকাশ আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লটারির ফল প্রকাশ করা হবে। মাউশির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। এরপর ১২ ডিসেম্বর লটারির কার্যক্রম শেষে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে বিশেষ কারণে এ তারিখে পরিবর্তন আসতে পারে। মেধা-অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ ও চূড়ান্ত ভর্তি ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তাছাড়া রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনর্ভর্তি ফি নেওয়া যাবে না। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশই কোটা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশই ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা। তাছাড়া বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহোদর ভাই-বোনরা ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন। তবে এবার কোটা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করতে হবে। জানা যায়, প্রতি বছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী লটারিতে অংশ নিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে। সন্তানকে ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য চেষ্টা করেন সব অভিভাবক। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তারা। এবার তারা লটারি পদ্ধতি বাদ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। সময় স্বল্পতার কারণে অভিভাবকদের দাবি এবার বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব না হলেও আগামীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com