নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী আতিকুল ইসলামকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ঢাকা মহানগর উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেমকে এ নির্দেশ দেয় ইসি।
রোববার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল শনিবার (৪ জানুয়ারি) রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে আতিকুলের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেয় ডিএনসিসিতে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিএনপি প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছে আপনারা কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গতকাল আমি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে বলেছি, যেন তাকে শোকজ করা হয়। যেন তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না।’
দক্ষিণে বিএনপির এক প্রার্থী অভিযোগ এনেছেন যে, তাদের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কি অহেতুক? জবাবে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি পুলিশের কাছে একটা অনুরোধ জানাব, যাতে করে অহেতুক কোনো হয়রানি না করা হয়। কোনো প্রার্থী কিংবা ভোটার, কাউকে না। কোনো রাজনৈতিক দলকেও না। যদি আইনের মধ্যে থেকে তারা তাদের কার্যক্রম চালায়। কাউকে কোনোভাবেই যেন হয়রানির শিকার না করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘এখানে একটা বিষয় আছে। কোনো প্রার্থী যদি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হন, ওয়ারেন্ট যদি আদালত জারি করেন, সেই জারি করা পরোয়ানাটা বাস্তবায়ন করতে কিন্তু পুলিশ বাধ্য। আপনারা হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, আগে কেন করেনি? আসলে এ বিষয়টা আমরা পুলিশকে বলতে পারব না। যেহেতু সামনে পেয়েছে, হয়তোবা করেছে। আমি খোঁজ নিয়েছি, উনি একটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। তার নামে আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। গ্রেফতারি পরোয়ানার ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
‘তার পরও যাতে একটা সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ বজায় থাকে, সেজন্য আমরা বসব। বসে আমরা চিন্তা-ভাবনা করে দেখব, কীভাবে নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক রাখা যায়’, জানান রফিকুল।
তিনি বলেন, ‘পুলিশ ও প্রশাসনকে বলব, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় রাখার জন্য কেউ যেন অতি উৎসাহী না হয়ে কোনো ধরনের কার্যক্রমে অংশ না নেয়। আমাদের যারা, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, তাদের কাছেও আমার সুস্পষ্ট বার্তা যে, যেন অতি উৎসাহী হয়ে আইনের অতিরঞ্জিত প্রয়োগ বা আইনের প্রয়োগ যথাযথভাবে না করে কম প্রয়োগ যেন না হয়। আইনের যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে যেন তারা সবধরনের ব্যবস্থা নেয়।’