আদালত প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে তিতাস নদীর ত্রিমোহনায় নির্মিত দেশের প্রথম ওয়াই আকৃতির ‘শেখ হাসিনা সেতু’ রক্ষায় বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না- জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক ও সেতু সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক, বাঞ্ছারামপুর থানার নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা ইঞ্জিনিয়ারকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ঝুঁকিতে ‘শেখ হাসিনা সেতু’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন আইনজীবী কুমার দেবুল দে আদালতের নজরে আনলে আদালত এ আদেশ দেন।
রোববার (৫ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে ২০১১ সালের ১৬ জুন সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৭৭১ দশমিক ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৮ দশমিক ১০ মিটার প্রস্থের সেতুর নির্মাণকাজ ২০১৭ সালের জুন মাসে শেষ হয়। ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর এ সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেতুটিতে ২৫টি পিলার, ২৪টি স্প্যান রয়েছে। এ সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় ৯৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।