আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনাগুলোতে হামলার হুমকি দিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের রকেট হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর ইরান ‘চরম প্রতিশোধ’ নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনাসহ ৫২ লক্ষ্যস্থলে হামলার হুমকি দেন।
তবে জাতিসংঘের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন,ইরানের এ ধরনের স্থানগুলো সুরক্ষিত থাকবে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান, উভয়েই যুদ্ধসহ সবসময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার আন্তর্জাতিক ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে। আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী, সাংস্কৃতিক স্থানগুলো সামরিক হামলার লক্ষ্যস্থল করা হলে তা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
ট্রাম্প অবশ্য ইসরায়েলের বিরোধিতার অভিযোগ তুলে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে ইউনেস্কো থেকে প্রত্যাহার করে নেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেটিক দলের সিনেটর এলিজাবেথ ওয়ারেন ও ক্রিস মার্ফি প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘ট্রাম্প যুদ্ধাপরাধের হুমকি দিচ্ছেন’।
সোমবার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, আন্তর্জাতিক আইন দিয়ে সাংস্কৃতিক স্থানগুলো সুরক্ষিত এবং আইনটিকে শ্রদ্ধা করা হবে বলে ব্রিটেন আশা করে।