নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মকর্তাদের সংগঠন ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচন শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি)। বেইলি রোডে ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচন। এবার ২০২০-২১ সালের জন্য পাঁচটি পদে মোট ২২ জন নির্বাচিত হবেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদাধিকার বলে অফিসার্স ক্লাবের সভাপতি। তাই এ পদে নির্বাচন হয় না।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত হবে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)। এরপর এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ভোটার সাড়ে ৫ হাজার।
ভোটের মাধ্যমে তিনজন ভাইস-চেয়ারম্যান, একজন সাধারণ সম্পাদক, তিনজন যুগ্ম সম্পাদক, একজন কোষাধ্যক্ষ ও ১৪ জন সদস্য নির্বাচন করা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদক ক্লাবের প্রশাসনিক প্রধান।
অফিসার্স ক্লাবের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক সচিব আব্দুল হান্নান। কমিশনের সদস্য হিসেবে রয়েছেন সাবেক সচিব সোহরাব হোসাইন ও বর্তমান জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন। রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন ঢাকার জেলা প্রশাসক ডিসি আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান।
সাবেক সচিব ও ক্লাবের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহীম হোসেন খান এবারও একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন প্রার্থী হয়েছেন। তিনি বর্তমান কমিটির কোষাধ্যক্ষ।
কোষাধ্যক্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম ও যুগ্মসচিব মো. হারুন-অর রশিদ বিশ্বাস। এ পদে প্রার্থী হিসেবে আরও রয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আব্দুল মান্নান ইলিয়াস।
ভাইস চেয়ারম্যানের তিনটি পদে প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন। তারা হলেন- সাবেক সচিব কে এম মোজাম্মেল হক, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব খালিদ মাহমুদ, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব আনছার আলী খান, শ্রম ও কর্মসংস্থানের অতিরিক্ত সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন, পিএসসি সচিবালয়ের প্রধান মনোবিজ্ঞানী রওশন আরা জামান রুবী, উপ-সচিব আবদুল মান্নান, আনসার ক্যাডারের কর্মকর্তা ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ, রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট সৈয়দ ফিরোজ আলমগীর ও পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (অতিরিক্ত আইজিপি) শেখ মুহম্মদ মারুফ হাসান।
যুগ্ম-সম্পাদকের তিনটি পদ। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চারজন। তারা হলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী, রাজউকের (সদস্য পরিকল্পনা) আজহারুল ইসলাম খান, সরকারি বাঙলা কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌসী খান ও ডিএমপির ডিসি (এ্যাস্টেট) আসমা সিদ্দিকা মিলি।
ঢাকা অফিসার্স ক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ ১৪টি। এসব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৫ জন।
তারা হলেন-পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপ-সচিব) মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক (উপ-সচিব) জসীম উদ্দীন হায়দার, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন সোহাগ, মুগদা মেডিকেল কলেজের ইএনটি অ্যান্ড হেড-নেক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক আবুল হোসেন, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির একান্ত সচিব (উপ-সচিব) মোহাম্মদ শাহজালাল, বদরুন্নেসা কলেজের সাবেক অধ্যাপক আশরাফুন নেসা রোজী, অতিরিক্ত কর কমিশনার নাশিদ রিজওয়ানা মনির, উপ-সচিব আমিনুল ইসলাম, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) সাবেক ডিজি মাহফুজার রহমান সরকার, স্থাপত্য অধিদফতরের উপ-প্রধান স্থপতি মীর মনজুরুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মনছুরুল আলম, অধ্যাপক মুহাম্মদ আবদুস সবুর, প্রকৌশলী আবু সাদেক, লেজিসলেটিভ বিভাগের যুগ্মসচিব জাকেরুল আবেদীন আপেল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলওয়ার হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ সাকিব সাদাকাত, সংসদ সচিবালয় পরিচালক (জেলা জজ) নাছির উদ্দীন সবুজ, আইসিটি বিভাগের যুগ্মসচিব মো. আখতারুজ্জামান, গণপূর্তের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ, দুদকের উপ-পরিচালক শাহীন আরা মমতাজ, জনপ্রশাসনের উপ-সচিব আলমগীর হোসেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক প্রদ্যুৎ কুমার সাহা, যুগ্মসচিব আবিদুর রহমান, রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব রথীন্দ্রনাথ দত্ত, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক আব্দুল হানিফ ডাবলু, বিদ্যুৎ বিভাগের উপ-প্রধান তানিয়া খান, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপ-সচিব সুরাইয়া পারভীন শেলী, ফিরোজ আহমেদ খান, মৌসুমী হাসান, ডা. নিয়ামুল রোহানী, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রত্না পাল, সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সৈয়দ মাহবুব-ই-জামিল ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইআইপি)’ মূল্যায়ন সমন্বয়কারী এম এ মজিদ।