ক্রীড়া প্রতিবেদক : ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ৬৩টি জেলা, বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড ও সার্ভিসেস দলসহ মোট ৭৮টি দল নিয়ে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০’।
আজ বিভিন্ন জোনে ১৪টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জয় পেয়েছে মানিকগঞ্জ, নেত্রোকোণা, ফেনী, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও কক্সবাজার।
জয়পুরহাট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে চাপাইনবাবগঞ্জের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে জয়পুরহাট। জামালপুর স্টেয়িামে একই ব্যবধানে শেরপুরের সঙ্গে ড্র করেছে জামালপুল। টাঙ্গাইল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে মানিকগঞ্জ। শরীয়তপুরের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে মুন্সিগঞ্জ। গাজীপুরের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে সিরাজগঞ্জ। ময়মনসিংহ জেলা ১-০ গোলে হারিয়েছে ময়মনসিংহকে। নোয়াখালীর বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে ফেনী জেলা। খাগড়াছড়ি জেলা ২-০ গোলে হারিয়েছে লক্ষ্মীপুর জেলাকে। বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা ২-০ গোলে হারিয়েছে রাঙামাটি জেলাকে। কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিকরা রাজশাহীর বিপক্ষে জয় পেয়েছে ১-০ গোলে। বগুড়া জেলা গোলশূন্য ড্র করেছে নওগাঁ জেলার বিপক্ষে। ফরিদপুর জেলা ১-০ গোলে হারিয়েছে মাদারীপুর জেলাকে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রাজবাড়ী জেলাকে। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম জেলা ১-১ গোলে ড্র করেছে বান্দরবান জেলার সঙ্গে।
সবশেষ ২০০৭ সালে আয়োজিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। ১৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর নামে আবার মাঠে গড়াল এই টুর্নামেন্ট। জেলা ফুটবল দলগুলোকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, শীতলক্ষা, ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা চিত্রা ও সুরমা জোনে ভাগ করা হয়েছে। সুরমা বাদে প্রতি অঞ্চলে আটটি করে দল রয়েছে। আট দলকে চার জোড়ায় ভাগ করে নক আউট পদ্ধতিতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে চারটি দল জিতবে। এই চার দলের মধ্যে আবার দুই জোড়া করে নক আউট হবে। সেই দুই নক আউট জয়ীদের মধ্যে জোনাল চ্যাম্পিয়নের লড়াই হবে। জোনাল চ্যাম্পিয়ন দল চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। আট জোন থেকে আটটি ও সার্ভিসেস দল থেকে দুটিসহ মোট ১০টি দল চূড়ান্তপর্ব খেলবে।
সুরমা অঞ্চলে কিশোরগঞ্জ না থাকায় মৌলভীবাজার, সিলেট ও সুনামগঞ্জ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে গ্রুপ ভিত্তিক খেলবে। জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোকে এই চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ও সার্ভিসেস,বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডকে ৫০ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রত্যেক দলকে দুই সেট জার্সি দেওয়া হয়েছে। ঘরের মাঠে লাল জার্সি ও অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পড়ে খেলা হবে।