নিজস্ব প্রতিবেদক: মেয়ে বন্ধুকে কেন্দ্র করে দুই বন্ধুর মধ্যে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জুনায়েদ আল ইমদাদ (১৭) ও ‘বড় ভাই’ রিজভীর (২৬) বিরুদ্ধে পৃথক দুইটি সম্পূরক চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ও পেনাল কোডের ৩২৩/৩২৫/৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক আশফাক রাজিব হাসান।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) মামলাটির চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
এছাড়া মৃদুল নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদানের আবেদন করেছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আশ্রাফ আলী শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। ২২ ডিসেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুইজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন।’
এর আগে, ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি ঢাকা সিএমএম আদালতের ধানমন্ডি থানার জিআর শাখায় আইসিটি ও পেনাল কোডে আইনে এ চার্জশিটটি দাখিল করেন ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক নরুল হক। আদালত মামলাটি পুনঃতদন্তের নির্দেশ দেন। ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর অন্য কোনো আসামি খুঁজে না পেয়ে আবারও জুনায়েদ ও তার কথিত বড় ভাই রিজভীর নামে আদালতে পৃথক দুইটি চার্জশিট দাখিল করেন। এছাড়াও মৃদুল নামের একজনকে অব্যাহতির আবেদন করেন।
২০১৬ সালের ১৩ মার্চ ধানমন্ডি লেকের পাড়ে মারধরের ঘটনা ভিডিও করে তা ফেসবুকে আপলোড করা হয়। ১০ মিনিটের ওই ভিডিও ক্লিপ থেকে জানা যায়, যে মারধর করছে তার নাম জুনায়েদ। জুনায়েদ নানা অভিযোগে তার বন্ধু নুরুল্লাহকে চপেটাঘাত ও লাথি মারছে। অন্য বন্ধুটি সব অভিযোগ অস্বীকার করে বারবার বলছে, ‘আমি এরকম করিনি।’
ভিডিওটি ফেসবুকে প্রকাশ হলে বেশ আলোচনার সৃষ্টি হয়। ধানমন্ডি লেকের পাড়ে ঘটনাটি ঘটলেও কেউ এগিয়ে আসেননি। মারধরের ওই ঘটনার পরের দিন নুরুল্লাহ বাদী হয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।