লাইফস্টাইল ডেস্ক: রান্নার বিভিন্ন গুণাগুণ ছাড়াও অ্যাভোকাডোর রয়েছে নানান ধরনের পুষ্টিগুণের সমাহার। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, পটাসিয়াম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাটও রয়েছে। অ্যাভোক্যাডোয় প্রায় ২০ রকমের ভিটামিন আছে এবং এটি হজমেরও সহায়ক। অ্যাভোক্যাডো আর কিউয়ি একসঙ্গে ব্লেন্ড করে সুস্বাদু স্মুদি তৈরি করে খেতে পারেন। আবার দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে লস্যি বানিয়েও খেতে পারেন।
অ্যাভোকাডোর মধ্যে একটি বড় বীজ থাকে যা, ফেলে দেওয়া হয় এবং ফলটি খাওয়া হয়। বীজটি একটি শক্ত খোলার মধ্যে আবদ্ধ থাকে। কিন্তু, অ্যাভোকাডোর বীজেও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট এবং অল্প পরিমাণে প্রোটিন আছে। তাই, অ্যাভোকাডো বীজও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। জেনি নিন অ্যাভোকাডো বীজের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে- ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করে মালয়েশিয়ান জার্নাল অফ মেডিকেল সায়েন্সে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, অ্যাভোকাডো বীজে বায়োঅ্যাকটিভ ফাইটোকেমিক্যালস রয়েছে যা, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি হ্রাস করার ক্ষমতা রাখে। অ্যাভোকাডো বীজের ফাইবার কোলেস্টেরলের জন্য ভালো: কোলেস্টেরল বাড়াতে এবং খারাপ কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে। উচ্চ কোলেস্টেরল করোনারি হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক, উচ্চ রক্তচাপ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের জন্য সহায়ক উপাদান। অ্যাভোকাডো বীজের গুঁড়োতে থাকা ফিনলিক যৌগের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্রিয়াকলাপ, কোলেস্টেরল হ্রাস করার ক্ষেত্রে একটি হাইপোলিপিডেমিক প্রভাব ফেলে। আলজেইমার রোগ নিয়ন্ত্রণ করে: একটি গবেষণা অনুযায়ী, অ্যাভোকাডো বীজ আলজেইমার রোগের চিকিৎসার জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও, অ্যাভোকাডো বীজের মধ্যে ছত্রাকজনিত, কীটনাশক এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে বলেও প্রমাণিত। রক্তচাপ হ্রাস করে: এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যাভোকাডো বীজের নির্যাসগুলো
রক্তনালীগুলোকে শিথিল করতে সহায়তা করে যা, উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করতে সহায়তা করে থাকে।