জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেছেন, আজকে আমাদের এই শহরকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। এ থেকে উত্তরণ ঘটাতে হলে আমাদের একটা পরিবর্তন দরকার। আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি একটা সূবর্ণ সুযোগ এসেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে প্রাপ্ত এই বাংলাদেশের মূলমন্ত্র ছিল যে, জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক, জনগণ হবে রাষ্ট্রের মালিক। সেই অধিকারকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সুযোগ আবারও এসেছে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর হাজারীবাগের ঝাউচর বেড়িবাঁধ এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ইশরাক বলেন,ঢাকা শহরকে রক্ষা করতে, মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা করতে প্রয়োজনে রক্ত দেব জীবন দেব, কিন্তু কারও জমিদারিত্ব মানবো না।
তিনি বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) আমাদের উত্তরের যে মেয়র প্রার্থী তার ওপর পেছন থেকে কাপুরুষোচিত ন্যাক্কারজনক হামলা হয়েছে। এ ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা হতে চললো, কিন্তু এখনও একটা গ্রেফতার আমরা দেখতে পারলাম না। আমি বিনীত অনুরোধ করব পুলিশ প্রশাসনের প্রতি, আপনারা আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচন কমিশনের ওপর যে সাংবিধানিক দায়িত্ব দেয়া হয়েছে আপনারা সেটা পালন করেন। আপনারা নিরপেক্ষ থেকে আপনারা জনগণের পক্ষে থাকেন।
ইশরাক বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমি আমার বাবার সঙ্গে সবসময় বিষয়গুলো নিয়ে আলাপ করতাম। উনি আমাকে বলেছেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল একটা গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের জন্য। যেখানে মূল উদ্দেশ্য হবে জনগণ রাষ্ট্রের মালিক। জনগণ হবে ক্ষমতার মালিক। কিন্তু আমরা আজকে লক্ষ্য করতে পারি, শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে যারা আছেন তারাই দখলদারিত্ব করে যাচ্ছেন। এই বাংলাদেশ আর কারও অধিকার নেই, বাকস্বাধীনতার অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই।
তিনি বলেন, আমরা বলে দিতে চাই, আমরা এটা মানবো না। আমি শুনেছি ঢাকা শহরে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছিল, আমরা কোনো ষড়যন্ত্র মানবো না। এই প্রচার অভিযানের মাধ্যমে আজকে ঢাকাকে মুক্ত ঘোষণা করলাম। কোনো সন্ত্রাসীকে আমরা সুযোগ দেব না। কারও জমিদারিত্ব মানবো না।
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহম্মেদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারসহ বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।