সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

শিক্ষার্থীদের মন্ত্রিসভা নির্বাচন আগামীকাল

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২০
  • ২৫০ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী শনিবার (২৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের মন্ত্রিসভা (স্টুডেন্ট কেবিনেট) নির্বাচন- ২০২০ ।

সারাদেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিষয়টি জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য দেন তিনি।

সচিব বলেন, প্রাসঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে ২০২০ সালের স্টুডেন্ট কেবিনেট নির্বাচনের লক্ষ্যে স্টুডেন্ট কেবিনেট ম্যানুয়াল, নির্বাচনী তফসিল ইতোমধ্যে আঞ্চলিক পরিচালক, আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবং সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। সারাদেশে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে গত ১২ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের উপস্থিতিতে বিভিন্ন দফতরপ্রধান, সকল আঞ্চলিক পরিচালক, আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার এবং উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০১৫ সাল থেকে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারও সারাদেশে সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় ২৫ জানুয়ারি (শনিবার) সকাল ৯টা হতে দুপুর ২টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে। এ বছর দেশের আট বিভাগ ও আট মহানগরের মোট ৫৫৯টি উপজেলা/থানার ২২ হাজার ৯২৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৩৮৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ছয় হাজার ৫৪২টি দাখিল মাদরাসা রয়েছে।

মাহবুব হোসেন জানান, এ বছর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক লাখ ৩১ হাজার ৭২টি এবং মাদরাসায় ৫২ হাজার ৩৩৬টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা এক কোটি ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৯১৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৬২ লাখ ৫১ হাজার ৬৮৩, যা মোট শিক্ষার্থীর ৫৪ দশমিক ১০ শতাংশ। ছাত্রের সংখ্যা ৫৩ লাখ দুই হাজার ২৩৩ জন।

স্টুডেন্ট কেবিনেট গঠনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, শিশুকাল থেকে গণতন্ত্রের চর্চা এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া, অন্যের মতামতের প্রতি সহিষ্ণুতা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখন-শেখানো কার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ছাত্র ভর্তি ও ঝরে পড়া রোধে সহযোগিতা করা, শিখন-শেখানো কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে অভিভাবকদের সম্পৃক্ত করা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

তিনি আরও বলেন, এখন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদরাসায় এ নির্বাচন হলেও আগামীতে কলেজপর্যায়েও নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১৯ সালে ২২ হাজার ৯৬১টি প্রতিষ্ঠানের এক লাখ ৮৩ হাজার ৬৮৮টি পদের বিপরীতে তিন লাখ ২৪ হাজার ৮৩৭ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ছিল। ২০১৯ সালে মোট ভোটার ছিল এক কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৬১৮ জন। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নির্বাচিতরা একজন প্রধানমন্ত্রী ও কয়েকজন মন্ত্রী নির্বাচন করে মন্ত্রিসভা গঠন করে। এ মন্ত্রিসভা এক বছর মেয়াদে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..

আজ থেকে স্কুলে ভর্তি আবেদন শুরু, নেই মুক্তিযোদ্ধার নাতি কোটা সিটিজেন প্রতিবেদকঃ সরকারি-বেসরকারি স্কুলে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তির আবেদন শুরু হচ্ছে আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) থেকে বেলা ১১টা থেকে অনলাইনে আবেদন করতে পারবে শিক্ষার্থীরা। এই প্রক্রিয়া চলবে ৩০ নভেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আবেদন শেষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই ও ভর্তি করানো হবে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—এবার ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের মাধ্যমে এ ফি পরিশোধ করতে হবে। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর বয়স জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ অনুযায়ী ৬ বছরের বেশি বয়সী শিক্ষার্থীদের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। কাঙ্ক্ষিত শিক্ষাবর্ষের ১ জানুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীর সর্বনিম্ন বয়স ৫ বছর এবং ৩১ ডিসেম্বর তারিখে সর্বোচ্চ ৭ বছর পর্যন্ত হবে। যেমন—২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকালে কোনো শিক্ষার্থীর বয়সসীমা সর্বনিম্ন ৫ বছর হবে। অর্থাৎ সর্বনিম্ন জন্মতারিখ হবে ১ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৭ বছর পর্যন্ত অর্থাৎ, জন্মতারিখ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ পর্যন্ত। পরবর্তী শ্রেণিগুলোতে বয়স নির্ধারণের বিষয়টি প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ধারবাহিকভাবে প্রযোজ্য হবে। শিক্ষার্থীর বয়স নির্ধারণের জন্য ভর্তির আবেদন ফরমের সঙ্গে অনলাইন জন্ম-নিবন্ধন সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের বয়স নির্ধারণে সর্বোচ্চ ৫ বছরের অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া যাবে। সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দক্রম দেওয়া যাবে অনলাইন আবেদনের ক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থী পছন্দের ক্রমানুসারে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয়ের নাম দিতে পারবে। তবে ডাবল শিফট স্কুলে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম (দুটি বিদ্যালয় পছন্দক্রম) সম্পাদন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। অন্যদিকে সরকারি-বেসরকারি কোনো স্কুলেই একটি শ্রেণির কোনো শাখাতে ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না। বিদ্যমান অনলাইন ভর্তি আবেদন প্রক্রিয়ায় আরও স্বচ্ছতা আনার লক্ষ্যে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর পছন্দের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেকোনো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করে নিশ্চিত করতে হবে। বিষয়টি সফটওয়ারে অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়া ঢাকা মহানগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন সর্বোচ্চ তিনটি থানাকে ‘ক্যাচমেন্ট এরিয়া’ হিসেবে নির্ধারণ করতে পারবেন। ক্যাচমেন্ট এরিয়া থেকে শূন্য আসনের ৪০ শতাংশ শিক্ষার্থী নেওয়া হবে। ক্যাচমেন্ট এরিয়ার এ কোটা সুবিধা পেতে অনলাইনে আবেদনের সময় শিক্ষার্থীদের অবশ্যই ক্যাচমেন্ট এরিয়া নির্বাচন করতে হবে। ডিজিটাল লটারি ও ফল প্রকাশ আবেদন প্রক্রিয়া শেষে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর লটারির ফল প্রকাশ করা হবে। মাউশির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—আনুষ্ঠানিকভাবে লটারির সম্ভাব্য দিন ঠিক করা হয়েছে ১০ ডিসেম্বর। এরপর ১২ ডিসেম্বর লটারির কার্যক্রম শেষে ফল প্রকাশ করা হতে পারে। তবে বিশেষ কারণে এ তারিখে পরিবর্তন আসতে পারে। মেধা-অপেক্ষমাণ তালিকা প্রকাশ ও চূড়ান্ত ভর্তি ডিজিটাল লটারির ফল প্রকাশের পর ১৭ ডিসেম্বর শুরু হবে চূড়ান্ত ভর্তি কার্যক্রম, যা চলবে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর প্রথম অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার ভর্তি চলবে ২৬ ডিসেম্বর থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভর্তির ফি ও অন্যান্য খরচ দেশের মফস্বল এলাকার স্কুলে সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকুল্যে ৫০০ টাকার বেশি হবে না। উপজেলা ও পৌর এলাকায় ১ হাজার টাকা, মহানগর এলাকায় (ঢাকা বাদে) সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে রাজধানীর এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নিতে পারবে ৫ হাজার টাকা। আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভর্তি ফি নিতে পারবে ৮ হাজার টাকা। তবে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি ফি ১০ হাজার টাকা। তাছাড়া রাজধানীর প্রতিষ্ঠানগুলো উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আদায় করতে পারবে না। একই প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রতি বছর সেশন চার্জ নেওয়া যাবে। তবে পুনর্ভর্তি ফি নেওয়া যাবে না। সরকারি-বেসরকারি স্কুলে ভর্তির ক্ষেত্রে ৬৮ শতাংশই কোটা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪০ শতাংশই ক্যাচমেন্ট এরিয়া কোটা। তাছাড়া বীর ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত দপ্তর-সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা ১০ শতাংশ, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা ২ শতাংশ, অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর যমজ ও সহোদর ভাই-বোনরা ৫ শতাংশ কোটায় সংরক্ষিত আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন। তবে এবার কোটা পদ্ধতিতে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতদিন মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা এবং পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে নাতি-নাতনিদের ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রাখার নিয়ম ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী—বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার জন্যই কেবল ৫ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। এ কোটায় শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাতালিকা থেকে এ আসনে ভর্তি করতে হবে। জানা যায়, প্রতি বছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী লটারিতে অংশ নিয়ে স্কুলে ভর্তি হয়ে থাকে। সন্তানকে ভালো স্কুলে ভর্তির জন্য চেষ্টা করেন সব অভিভাবক। এ নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তারা। এবার তারা লটারি পদ্ধতি বাদ দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছিলেন। সময় স্বল্পতার কারণে অভিভাবকদের দাবি এবার বিবেচনায় নেওয়া সম্ভব না হলেও আগামীতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com