ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবা শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে গ্যাস উদগিরণর স্থল পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তবে শনিবার সকালে আবারও গ্যাস উঠতে থাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে সেখানে।
পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে গ্যাসের লেয়ার মজুদ রয়েছে। যার কারণে পকেট আকারে গ্যাস উঠছে। পেট্রোবাংলাকে সিসমিক সার্ভের মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এলাকায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
বাপেক্স-এর জিএম আলমীর হোসেন বলেন, ‘এটি পকেট গ্যাস, এমনিতেই কমে যাবে। এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে জনগণকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আজাদুর রহমান জানান,গ্যাস আতঙ্কে গত বুধবার থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে রবিবার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে গ্যাসের বুদ-বুদ বন্ধ না হওয়ায় এখনো আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নাসিমা আক্তার ও রফিক মিয়া জানান, গ্যাস উদগিরণের ঘটনায় নিরাপত্তা হীনতায় আছেন। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সংসদ সদস্য আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পেট্রোবাংলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে নলকূপ বসানোর স্থান দিয়ে গ্যাসের সঙ্গে বালি এবং পানি বের হতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যে স্কুলের মাঠ বালি পানিতে ঢেকে যায়। গ্যাসের চাপে বিদ্যালয়ের শহীদ মিনার, দেয়ালসহ আশপাশের বেশ কিছু গাছ ধসে পড়ে। আগুন আতঙ্কে অন্যত্র চলে যায় স্থানীয়রা। শুক্রবার সন্ধ্যায় উদগিরণ বন্ধ হলেও শনিবার সকালে আবারো গ্যাস উঠতে শুরু করে।