যশোর প্রতিনিধি: মর্টগেজদাতাদের স্বাক্ষর জাল করে ঋণের অঙ্ক বৃদ্ধি এবং সোয়া চার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবিএল) দুই কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রবিবার (৮ মার্চ) দুপুরে যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. ইখতিয়ারুল ইসলাম মল্লিকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন, ইউসিবিএল ব্যাংক যশোর শাখার সাবেক ম্যানেজার ইউসুফ আলী ও খুলনা শাখার বর্তমান অপারেশন ম্যানেজার স্বপন কুমার আইচ।
দুদকের পিপি আশরাফুল আলম বিপ্লব জানান, যশোর শহরের বেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামান বাবু তার প্রতিষ্ঠানের নামে ইউসিবিএল ব্যাংক থেকে ২০০৯ সালের ১৮ মে এক কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঋণ নেন। ঋণ নেওয়ার জন্য তিনি তার ব্যবসায়িক বন্ধু মামলার বাদী এমএ তুহিন ও তার দুই ভাইয়ের ৫৫ দশমিক ৩২ শতাংশ জমি বন্ধক রাখেন। ৬ মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করে সম্পত্তি দায়মুক্ত করতে চুক্তিও করা হয়। কিন্তু আসাদুজ্জামান বাবু ঋণ পরিশোধ না করে ব্যাংক ম্যানেজার ইউসুফ আলী ও ক্রেডিট ইনচার্জ স্বপন কুমার আইচের সহায়তায় মর্টগেজদাতাদের স্বাক্ষর জাল করেন। এই স্বাক্ষর ব্যবহার করে তিনটি ডিড অব এগ্রিমেন্ট অব ফারদার চার্জ সম্পাদন করে ঋণের অঙ্ক এক কোটি ৪৫ লাখ থেকে চার কোটি ২৫ লাখ টাকায় উন্নীত করেন এবং সব টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। পরে ঋণ পরিশোধের জন্য মর্টগেজদাতাদের কাছে ব্যাংক চিঠি পাঠালে তারা টাকা আত্মসাতের বিষয়টি জানতে পারে। এরপর মর্টগেজদাতা এমএ তুহিন বাদী হয়ে আসাদুজ্জামান বাবুসহ ব্যাংক কর্মকর্তাদের নামে ২০১৮ সালের অক্টোবরে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।
পিপি আরও জানান, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর মামলার আসামি ইউসিবিএল ব্যাংকের কর্মকর্তা ইউসুফ আলী ও স্বপন কুমার আইচ আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। বিচারক শুনানি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘এ মামলার চারটি ধারা অজামিনযোগ্য। ফলে সহজে তারা জামিন পাবেন বলে মনে হয় না।