আজগর পাঠান: গাজীপুরে সরকারি–বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত ৯১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২১ জন চিকিৎসক, ২৪ জন নার্স এবং ৪৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী।
ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) থেকে পাঠানো নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এই হিসাব গত সোমবার পর্যন্ত। গতকাল মঙ্গলবার ও আজ বুধবারের হালনাগাদ তথ্য জানাতে পারেনি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সর্বশেষ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের এক চিকিৎসক ও একজন সিনিয়র নার্সের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গাজীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহীন আজ বলেন, প্রতিদিনই উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নমুনা ঢাকায় আইইডিসিআরে পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু দুই দিন ধরে গাজীপুরে আক্রান্তদের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। গত সোমবার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে ৯১ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ৪৬ স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ল্যাব টেকনিশিয়ান, ফিল্ড অফিসার, ওয়ার্ড বয়সহ স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা–কর্মচারী আছেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চিকিৎসকদের মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৭ জন, কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতালের ১২ জন আছেন।
নার্সদের মধ্যে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন, কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাতজন, কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাতজন, কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে হাসপাতালের আটজন আছেন। ৪৬ স্বাস্থ্যকর্মী জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত।
শহীদ তাজদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের এক চিকিৎসক বলেন, তিনি গাজীপুরের গ্রিন হাসপাতাল কাজ করেন। ১৪ এপ্রিল ওই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করার সময় এক চিকিৎসক হাঁচি ও কাশি দিতে থাকলে তাঁকে অপারেশন থিয়েটার থেকে বের করে দেন সহকর্মী। পরে ১৮ এপ্রিল তিনি পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠান। ২০ এপ্রিল জানতে পারেন, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার সকাল আটটা পর্যন্ত গাজীপুর জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে ২৬৯ জন।