অর্থনৈতিক ডেস্ক: যেসব শ্রমিক এপ্রিল মাসে কাজ করেননি বা ছুটিতে গ্রামে অবস্থান করেছেন, তারা মোট বেতনের ৬০ ভাগ পাবেন। যারা কাজ করেছেন, তারা দিন হিসেবে শতভাগ বেতন পাবেন।
ঈদের আগপর্যন্ত কোনো কারখানা লে-অফ বা বন্ধ ঘোষণা হবে না এবং শ্রমিক ছাঁটাই করবে না মালিকরা।
বুধবার বিজয়নগরের শ্রম ভবনে শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া বৈঠক চলে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।
বৈঠকে অংশ নেন জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টু, বর্ষীয়ান শ্রমিক নেতা কমরেড মনজুরুল আহসান খান, জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি, গার্মেন্টস ও দর্জি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শহীদুল্লাহ বাদল, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন শহীদ।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শ্রম সচিব কেএম আলী আজম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি আবদুস সালাম।
মঙ্গলবার মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। বৈঠকে মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা শ্রমিকদের এপ্রিল মাসে ৬০ ভাগ বেতন দেয়ার প্রস্তাব দেয়। একই সঙ্গে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ এবং কারখানা লে-অফ বা বন্ধ না করার আশ্বাস দেয়। বৈঠকের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার শ্রমিক নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, লকডাউনের কারণে যেসব শ্রমিক কাজে যোগ দিতে পারেননি, শ্রমিক ছাঁটাই ও যারা কাজে যোগ দিয়েছেন- তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মে মাসের মধ্যে কোনো শ্রমিক ছাঁটাই হবে না, কারখানা লে-অফ হবে না। এপ্রিল মাসে কাজে যোগদান করে যেসব শ্রমিক কাজ করেছেন তারা পুরো বেতন-ভাতাদি পাবেন।
আর যারা বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতির কারণে করতে পারেননি, তারা বাড়ি বসে মূল বেতন-ভাতার ৬০ শতাংশ পাবেন। তিনি আরও বলেন, ঈদের আগেই যাতে শ্রমিকরা বেতনসহ অন্যান্য সুবিধাদি পান সে বিষয়ে মালিকপক্ষ, শ্রমিকপক্ষ ও সরকারপক্ষ বসে সিদ্ধান্ত নেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এপ্রিল মাসে শ্রমিকরা যে ক’দিন কাজ করেছেন, তার শতভাগ বেতন-ভাতা পাবেন। এ সময় কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কারখানায় স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা দেখভালের জন্য ইন্সপেক্টর ও ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি কাজ করছে। স্বাস্থ্যবিধি ব্যত্যয়ের অভিযোগ না আসায় কোনো কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না।