জ্যাকশন মাইকেল রোজারিও কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরের কালীগঞ্জে,জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে, চিকিৎসক ও রোগীর সুরক্ষায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ভাইরাস নমুনা সংগ্রহ বুথ স্থাপন করা হয়েছে।রোববার (৩ এপ্রিল) সকালে উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইউএনও মো. শিবলী সাদিক বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করোনা ভাইরাস নমুনা সংগ্রহ বুথ স্থাপন করা হয়েছে। তবে এ উপজেলায় আরো কয়েকটি বুথ স্থাপনের উদ্যেগে নেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ বহন করে আসা কোনও রোগীর মাধ্যমে যাতে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও স্টাফ ঝুঁকির মধ্যে না পড়েন সেজন্য এ বুথ গুলো স্থাপনের উদ্যেগে নেওয়া হয়। এতে চিকিৎসক ও রোগীরা উভয়ই নিরাপদ থাকবেন।
রোববার দুপুরে সরেজমিনে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, সম্পূর্ণ কাচ দিয়ে ঘেরা এই বুথের মধ্যে একজন চিকিৎসক অবস্থান নিচ্ছেন। সামনের সামান্য ফাঁকা জায়গা দিয়ে গ্লাভস পরিহিত হাত বের করে রোগীর রক্তচাপ নির্ণয় এবং থার্মাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করছেন। স্থাপন করা সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে চিকিৎসক ও বাইরে থাকা রোগীর মধ্যে কথোপকথন হচ্ছে। এ সময় কোনও রোগীর তাপমাত্রা করোনাভাইরাসের উপসর্গের সঙ্গে মিলে গেলে তাকে করোনা ওয়ার্ডের আইসোলেশনে পাঠানো হচ্ছে। এতে নমুনা সংগ্রহকারী ও প্রদানকারী একে অন্যের সংস্পর্শে যেতে হচ্ছে না। এভাবে একজন সংগ্রহকারী অধিক লোকের নমুনা সংগ্রহ করছেন। তবে তার সংক্রমণের কোন ঝুঁকিও থাকছে না।
কালীগঞ্জ উপজেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ইউএনও মো. শিবলী সাদিক বলেন, গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনা ও অর্থায়নে নির্দিষ্ট ডিজাইনে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি করোনা ভাইরাস নমুনা সংগ্রহ বুথ স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এ বুথ স্থাপন করা হয়। আতিমধ্যে কালীগঞ্জের এ বুথ থেকে সেবা দেওয়া শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য: গত ১২ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৪৯৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআর থেকে পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ৬ জন চিকিৎসক, ৮ জন নার্সসহ চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট রয়েছে ২৫ জন, পুলিশ সদস্য ১৬ জন এবং উপজেলা প্রশাসনের ৪ জন। এর বাহিরে রয়েছে আরো ৪৬ জনসহ মোট ৯১ জন করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে। শনাক্ত ৯১ জনের মধ্যে একজন চিকিৎসকসহ মোট ১৬ জন সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছেন। তবে এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখনো পর্যন্ত কোন রোগীর মৃত্যু হয়নি।