অনলাইন ডেক্স: সাধারণ মানুষদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মী। এই যেমন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১৭৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী। কোয়ারেন্টিনে আছেন অনেক।
আজ বৃহস্পতিবার দুপরে দুই হাসপাতালের পরিচালক সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, আক্রান্ত ১৭৪ রোগী ছাড়াও কোয়ারেন্টিনে আছেন অসংখ্য স্বাস্থ্যকর্মী। আর করোনা আক্রান্তদের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তবে এই যখন পরিস্থিতি, তখন সরকার কেন লকডাউন শিথিলের পথে হাঁটছে তা মাথায় আসছে না সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়ার। এই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে বলা মুশকিল। এর ভেতরে আবার লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে। আমি জানি না সরকার কেন এই সিদ্ধান্ত নিল। আমার মাথায় আসছে না বিষয়টি। এটা ভালো ফল বয়ে আসবে বলে মনে হচ্ছে না। এই ব্যাপারে আমাদের আরো ভাবা জরুরি।’
মিটফোর্ড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মো. রশিদ-উন-নবী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমার হাসপাতালে মোট ৮৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে চিকিৎসক ৪০ জন, নার্স ১৯ জন ও কর্মচারী ২৭ জন। এই ৮৬ জনের মধ্যে চিকিৎসক চারজন, নার্স আটজন ও সাতজন কর্মচারীসহ মোট ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন। বাকিরা চিকিৎসাধীন আছেন।’
সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. উত্তম কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘আমার হাসপাতালে চিকিৎসকসহ মোট ৮৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের ভেতরে চিকিৎসক ৬২ জন, নার্স ১২ জন ও কর্মচারী ১৪ জন। এদের ভেতরে কেউ কেউ সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তবে সেই সংখ্যা খুবই কম। এছাড়া প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা দুই চারজন করে বাড়ছেই । স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যদি একবার ভেঙে পড়ে, কী হবে পরিস্থিতি ভাবতে ভয়াবহ!’