রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

৬ সিইও বেতন নেন না কর্মীদের চাকরি বাঁচাতে

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৯ মে, ২০২০
  • ২৬৪ বার পঠিত

অর্থনৈতিক ডেস্ক : ছয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা: (উপরে বাম থেকে) উদয় কোটাক, রাজীব বাজাজ, দীপ কালরা, (নিচে বাম থেকে) রিতেশ আগরওয়াল, বিজয় শেখর শর্মা এবং ভবিশ আগরওয়াল
ভারতে চলছে তৃতীয় পর্যায়ের লকডাউন। দেশটিতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছেই। বেশিভাগ শহর রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত। এনডিটিভির সবশেষ তথ্য (৯ মে) অনুযায়ী ভারতে ৬০ হাজরের কাছাকাছি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। মৃত্যু হয়েছে ১৯৮১ জনের।

করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে স্বনামধন্য ছয়টি প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কর্মীদের চাকরি বাঁচিয়ে রাখছেন। করেননি ছাঁটাই। বেতন থেকেও কাটেননি অর্থ। বরং কর্মীদের বেতন-ভাতা চালু রাখতে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা (সিইও) নিজেদের বেতন নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য এই ছয় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কথা তুলে ধরা হলো।

উদয় কোটাক, সিইও, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাংক:করোনাকালে কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন উদয় কোটাক। এ মাসে এক বিবৃতিতে তিনি জানান, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট সংকটে ব্যাংকের কর্মীদের যাতে ছাঁটাইয়ের সম্মুখীন হতে না হয় এবং তাদের যেন ঠিক সময়ে বেতন দেওয়া যায়, তা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসে মাত্র এক টাকা বেতন নিবেন তিনি। বাকি পুরো টাকা চলে যাবে ব্যাংকের ফান্ডে। যা দিয়ে কর্মীদের বেতনের সংকট পূরণ করা হবে। এমনকি চলমান সংকট মোকাবিলায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ত্রাণ তহবিলে তিনি ব্যক্তিগতভাবে ২৫ কোটি রুপি অনুদান দিয়েছেন।

রাজীব বাজাজ, সিইও, বাজাজ অটো: রাজীব বাজাজ জানিয়েছেন, লকডাউন একবার ওঠে গেলে তিনি এবং সংস্থার অন্য উচ্চপদস্থ কর্মীরা কোনও বেতন নেবেন না। পুরো ১০০ শতাংশ বেতনই নেবেন না তিনি। পাশাপাশিই এই সংকটজনক পরিস্থিতিতে সমাজের এবং দেশের পাশে দাঁড়াতে অন্যান্য কর্মীদেরও বেতন কমানোর আর্জি জানিয়েছেন। কিছুদিন আগেই একটি সংবাদমাধ্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজীব বলেছিলেন, ‘অন্য কর্মীদের বেতন হ্রাসের আগে, নিজের ১০০ শতাংশ বেতন কাটতে চাই।

দীপ কালরা, প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, মেক মাই ট্রিপ: অনলাইন ট্র্যাভেল সার্ভিস প্রোভাইডার মেক মাই ট্রিপ এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও দীপ কালরা করোনার এই সংকটে এক পয়সাও বেতন না নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনিও ঘোষণা করেছেন, সংস্থার তরফে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে যে ত্রাণ তহবিল তুলে দেওয়া হবে, সেখানেই যাবে তার বেতন। পাশাপাশি তিনি নিশ্চিত করেছেন, সংস্থার কোনও কর্মী ছাঁটাই হবে না। ইতিমধ্যেই লকডাউনে বিপন্ন তারই সংস্থার কর্মীদেরও অর্থ সাহায্য করেছেন তিনি।

রিতেশ আগরওয়াল, প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, ওয়ো: করোনার এই সংকটে ওয়ো হোটেলস অ্যান্ড হোমস এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও রিতেশ আগরওয়াল চলতি আর্থিকবর্ষে এক টাকাও বেতন নেবেন না। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে শুরু করে পরের বছর ২০২১-এর এপ্রিল অবধি নিজের বেতন বাবদ পকেটে নিয়ে যাচ্ছেন শূন্য টাকা। তবে শুধু রিতেশ একাই নন, প্রতিষ্ঠানের আরও বেশকিছু কর্মীরাও বেতন না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাদের কেউ দুই মাসের, কেউ আবার ছয় মাসের জন্য বেতন নেবেন না। প্রতিষ্ঠানের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এমন ত্যাগ প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের কথা চিন্তা করে করা হয়েছে।

বিজয় শেখর শর্মা, প্রতিষ্ঠাতা, পেটিএম: ভারতে যখন থেকে করোনাভাইরাস হানা দিয়েছে, তখন থেকেই কর্মীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে অতি সতর্কতা দেখিয়েছেন মোবাইল পেমেন্ট অ্যাপস পেটিএম এর প্রতিষ্ঠাতা বিজয় শেখর শর্মা। গত মাসের শেষদিকে এক টুইট বার্তায় বিজয় ঘোষণা করেন, পরবর্তী দুই মাসের জন্য তিনি কোনও বেতন নেবেন না। আর তার এই বেতনের অর্থের পুরোটাই চলে যাবে কর্মীদের কাছে, যারা করোনায় আক্রান্ত বা লকডাউনের কারণে চূড়ান্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

ভবিশ আগরওয়াল, সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, ওলা ক্যাবস: ওলা ক্যাবসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ভবিশ আগরওয়াল ঘোষণা করেছেন, চলতি আর্থিক বর্ষে তিনি কোনও বেতন নেবেন না। যে বেতন তিনি নিচ্ছেন না, তা চলে যাবে ওলার ‘ড্রাইভ দ্য ড্রাইভার ফান্ড’-এ। এই ফান্ড ওলার সঙ্গে যুক্ত যত অটো, ক্যাব, বাইক, ট্যাকসি ড্রাইভাররা রয়েছেন—তাদের স্বার্থেই। দিনরাত এক করে মানুষকে পরিষেবা দিতে ওলার যে সমস্ত ড্রাইভাররা কাজ করে চলেছেন, তাদের আর্থিক সংকট মেটানোই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য। এখনও পর্যন্ত ভবিশ নিজে এবং তার সংস্থার অন্যান্য কর্মীরাও এই ফান্ডে ২০ কোটি টাকার অনুদান দিয়েছেন।

তথ্যসূত্র: এই সময়, ছবি: ইন্টারনেট, উইকিপিডিয়া

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com