এম,পারভেজ: রাজধানীর উত্তর সিটি এলাকার ৪৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শফিক চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনার প্রাদূর্ভাবকালে বড় ধরণের সহযোগিতা নিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের খোঁজ খবর নিয়েছেন। না খেয়ে থাকা মানুষের জন্য সরকারি অনুদানের আশায় বসে না থেকে নিজ উদ্যোগেই খাদ্য সহায়তা দিচ্ছেন। সরকারিভাবে প্রাপ্ত অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে বৃহত্তর উত্তরা অঞ্চলে সর্বাধিক সংখ্যক গরীব মানুষকে খাদ্য যোগান দিয়ে ইতোমধ্যে সকলের নজরও কেড়েছেন কাউন্সিলর সফিক।
নিজ উদ্যোগে এখন পর্যন্ত ৩০-৩৫ লক্ষ টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কথা জানান কাউন্সিলর নিজে। এরইমাঝে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রায় তিন হাজার মানুষের জন্য চাল, ডাল, সেমাই, চিনি, আলু তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুদ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর উত্তর খান থানার অন্য দুটি ওয়ার্ড থেকে ব্যস্ততম এবং সর্বাধিক জনবহুল এ ওয়ার্ডে গরীব মানুষের সংখ্যাই বেশি। বিভিন্ন ধরণের গার্মেন্টস শ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীসহ প্রায় ২০ হাজার নিন্ম আয়ের মানুষের অবস্থান এ ওয়ার্ডে। উত্তরার অন্য ওয়ার্ডগুলোতে নিন্ম আয়ের মানুষের পাশাপাশি বিত্তবানদের সংখ্যাও কম না। তাই খাদ্য সংকটে এলাকার গরীব মানুষগুলোকে খুববেশি বেগ পেতে হয়নি। কিন্তু উত্তরখানের এ ওয়ার্ডটিতে বিত্তবান পরিবারের সংখ্যা একেবারেই কম। যে কয়জন আছেন বা যারা এ ওয়ার্ডে বা থানায় রাজনীতি করেন তাদের কাউকেই কোনও সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসার খবর পাওয়া যায়নি। বিশেষ করে বিগত আমলের চেয়ারম্যান-মেম্বাররা একেবারেই উধাও বলে জানা গেছে। কিছু শিল্পগ্রুপ, তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অবস্থানের কারণে সামান্য কিছু সহায়তা দিলেও তা উল্লেখ করার মতো নয়। তবে নগর আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী নেতা উত্তরার প্রতিটি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দিয়েছেন, যা স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোচিত।
এমন অবস্থায় কাউন্সিলর শফিক দুই হাত খুলে সহায়তার হাত বাড়িছেন নিজ ওয়ার্ডবাসীর জন্য, যা এরইমধ্যে নগর উত্তরের মেয়রসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের আলোচনায় উঠে এসেছে। কাউন্সিলর সফিকের অনুদানের ব্যাপারে নগর আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা জানান, কাউন্সিলর শফিকের মনও আছে, ধনও আছে। তার বড় ধরণের অনুদানের কথা মেয়রসহ অনেকেই অবগত। আমরা তাকে সাধুবাদ জানাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আহবানে সাড়া দিয়ে বিপদের সময় পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য।
কাউন্সিলর শফিকের পর্যাপ্ত অনুদানের বিষয়টি নিয়ে সামাজাকি যোগাযোগ মাধমেও প্রশংসা করছেন অনেকে। সাহেদুল ইসলাম শান্ত নামে একজন লিখেছেন, প্রিয় বড় ভাই কাউন্সিলর শফিককে ৪৪ নং ওয়ার্ডবাসী মনে রাখবে চিরদিন, তিনি এ ওয়ার্ডবাসীর জন্য যা করেছেন তা ইতিহাস হয়ে থাকবে। নিজে এই মহামারি ভাইরাসকে ভয় না করে মাঠে থেকে কাজ করছেন। নিজ হাতে তুলে দিচ্ছেন অনুদান। দোয়া করি, ভাই যেন সুস্থ্য থাকে এবং মানুষের সেবা করতে পারে।
করোনার এ মহামারির আগেও কাউন্সিলর শাফিক বিভিন্ন সময় গরীব মানুষের পাশে ছিলেন বলে এলাকাবাসী জানান।