নিউজ ডেস্ক: মাগফেরাতের এই দশকে ক্ষমা পাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ যেনো হাতছাড়া না হয়। তাই সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হবে অন্তর দিয়ে। তার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে অন্তর দিয়ে। শুধু কৃতজ্ঞতার অনুভূতি জাগ্রত রাখলে হবে না বরং অন্তরকে স্রষ্টার স্মরণে নিয়োজিত রাখার মাধ্যমে অন্তরের শোকরিয়া আদায় করতে হবে। যখনই মানুষ অন্তরে আল্লাহকে স্মরণ করে আল্লাহও তাকে স্মরণ করেন।
আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আমাকে স্মরণ করো, আমিও তোমাদের স্মরণ করবো।’ (সূরা বাকারাহ ২/১৫২)
অর্থাৎ আল্লাহ তার বান্দাকে স্মরণ করবেন না বিস্মৃত হবেন তার চাবি মানুষের হাতে। যতক্ষণ আল্লাহকে মানুষ স্মরণ করবে ততোক্ষণ আল্লাহ তাকে স্মরণ করবেন ও তাকে নৈকট্য দেবেন এবং তার রহমতে বান্দাকে ঢেকে রাখবেন।
মানুষ যদি রাতদিন ২৪ ঘণ্টা আল্লাহকে স্মরণ করে, তিনিও রাতদিন তার বান্দাকে স্মরণ করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ স্রষ্টার স্মরণে ক্লান্ত হবে না ততক্ষণ সৃষ্টিকর্তা তার বান্দাকে স্মরণ করা ছেড়ে দেবেন না। যে আল্লাহর স্মরণ করে না তার আত্মা মৃত আর যে স্মরণ করে তার আত্মা জীবিত।
স্রষ্টার স্মরণ মানুষের এত কল্যাণকর বিধায় আল্লাহতায়ালা তার রাসূলকে (সা.) স্রষ্টার স্মরণের নির্দেশ দিয়েছেন : ‘সুতরাং আপনি আপনার পালনকর্তার জিকির করতে থাকুন এবং একাগ্রচিত্তে তারই প্রতি মগ্ন হয়ে থাকুন।’ (সূরা মুজাম্মিল ৭৩/৮)
যারা আল্লাহর নির্দেশ পালন করে তার স্মরণে অন্তঃকরণকে সিক্ত করা শুরু করে তাদের হৃদয় দ্রবীভূত হয়ে যায় স্রষ্টার রহমতের ফোটায়। যে অন্তর স্রষ্টার স্মরণের স্বাদ পেয়েছে সে যেন প্রশান্তির সরোবরে ডুব দিয়েছে।
পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে এমন অগণিত মানুষ আছে যারা জিকিরের প্রশান্তির সন্ধান পেয়ে গেছেন। মুখে কোন কথা নেই, ঠোঁটে কোন উচ্চারণ নেই, কারো দিকে তাকাবার প্রয়োজন নেই, কিছু চাওয়ার উৎসাহ নেই, কিছু না-পাওয়ার হাহাকার নেই। হৃদয় মগ্ন প্রভুর জিকিরে।
যেখানে আল্লাহর জিকির হয় সেই স্থানকে ফেরেশতারা ঘিরে রাখেন। যে অন্তর জিকিরে মশগুল থাকে তা গীবত, চোগলখোরী, মিথ্যা, অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে মুক্ত থাকে। জিকির দিলের যাবতীয় রোগের চিকিৎসা।
যারাই আল্লাহকে পেতে চায় তাদের অন্তঃকরণ অবশ্যই আল্লাহর স্মরণে ব্যস্ত রাখতে হবে। মৃত্যু যে কোন মুহূর্তে আসতে পারে, এমনকি কি ঘুমের মধ্যে আত্মা চলে যেতে পারে স্রষ্টার কাছে। তাই জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে আল্লাহকে স্মরণ করতে অভ্যস্ত হতে হবে।