নিউজ ডেস্ক: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় দেশের উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় স্থানীয় ছাত্রলীগের সব ইউনিটকে সতর্ক অবস্থায় থেকে দুর্গত মানুষদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার বিকালে ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নিদের্শনা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয় বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ এর আগ্রাসনে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত জনপদে যে কোনো মানবিক প্রয়োজনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে পাশে থাকতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা প্রধান দুই অঞ্চল খুলনা ও চট্টগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সঙ্গে কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ছাত্রলীগ সভাপতি জানান, দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশে ঝড়ের কবলে থাকা এলাকায় পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে মানুষদের সচেতন করতে এরইমধ্যে মাঠে নেমে কাজ করছে ছাত্রলীগের স্থানীয় নেতারা। সেখানে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে সহযোগিতা ও সচেতনতায় মাইকিং করছে ছাত্রলীগ। একই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় যেসব কৃষকের ধান কাটা হয়নি তাদের পাশে থেকে ধান কাটা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য বলেন, দুর্গতদের পক্ষে কাজ করতে এরইমধ্যে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। আশেপাশের এলাকায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে স্থানীয় নেতাকর্মীরা পাশে থাকবে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সমন্বয়ে ও জেলা সভাপতির নেতৃত্বে ঝুঁকিপূর্ণ জেলায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছি। পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া ঝড় পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয়ভাবে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান লেখক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ঝড়ের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়াদের পাশে দাঁড়াতে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। পরে অবস্থা বুঝে জরুরি ব্যবস্থা নেয়া হবে।