মো: জাহাঙ্গীর আকন্দ, টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি : গাজীপুরে টঙ্গীর মধুমিতা রেলগেট এলাকায় র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদ্রাসাছাত্রী ছাত্রী চাঁদনীকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু সুফিয়ান (২১) নিহত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। র্যাব বলছে, সুফিয়ানের বিরুদ্ধে একাধিক ধর্ষণসহ ছিনতাই ও নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। নিহত আবু সুফিয়ান ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মনসুরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি টঙ্গী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত সুফিয়ান শিশু চাঁদনী হত্যার পর থেকে পলাতক ছিলেন।
এর আগে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নিলয় নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। র্যাব-১-এর পোড়াবাড়ী স্পেশালাইজ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ১৭ মে রাতে টঙ্গীর মধুমিতা রেলগেট এলাকা থেকে চাঁদনী হত্যাকাণ্ডে জড়িত সুফিয়ানের বন্ধু নিলয়কে আটক করা হয়। তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মধুমিতা এলাকায় সুফিয়ানকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় টের পেয়ে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করলে আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই আবু সুফিয়ান নিহত হন। আব্দুল্লাহ আল মামুন আরো জানান, এ ঘটনায় র্যাবের এক সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
১৬ মে মহানগরের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রেলগেট এলাকায় একটি ময়লার স্তুপ থেকে শিশু চাঁদনীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে ধর্ষণের পর গলা টিপে হত্যা করে আসামিরা। লেফটেন্যান্ট কমান্ডার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ১৫ মে মধুমিতা রেলগেটের বেলতলা এলাকার মামুন মিয়ার মেয়ে চাঁদনী বাসার পাশের মাঠে খেলতে যায়। খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে চাঁদনীকে স্থানীয় একটি ইটের স্তুপের আড়ালে নিয়ে আবু সুফিয়ান ও তার বন্ধু নিলয় ধর্ষণ করে। এতে শিশুটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে ধর্ষকরা শিশুটিকে গলাটিপে ও দুপায়ে আঘাত করে নির্মমভাবে হত্যা করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চাঁদনীর লাশ উদ্ধার করে। পরে চাঁদনীর বাবা বাদী হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় এ ব্যাপারে মামলা করেন।