নিজস্ব প্রতিবেদক: জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভিতে কর্মরত অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রিপোর্টারের পাশে নেই কর্তৃপক্ষ।
বিটিভি’র ঢাকা কেন্দ্রের রিপোর্টার এমদাদুল হক ভূঞা পল্লব গত ১০ মে অফিসে দায়িত্ব পালন শেষে বাসায় ফিরলে জ্বর অনুভব করেন। এরপর নিজ উদ্যোগে করোনা টেস্ট করান। রিপোর্টে করোনা পজিটিভ আসার পর বাসাতেই রয়েছেন পল্লব। এখন পর্যন্ত তার অফিস বিটিভির ঊর্ধ্বতন কেউ খোঁজ নেননি বলে জানান তিনি।
বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানালে বাসায় থাকার কথা বলে দায় এড়িয়ে যান তারা। এবিষয়ে এমদাদুল হক ভূঞা পল্লব বলেন, আমার করোনা পজিটিভ আসার পর একজন প্রডিউসার ফোন করে শুধু খোঁজ নিয়েছেন কেমন আছি। এছাড়া আর কেউ যোগাযোগ করেনি।
তিনি বলেন, আমার করোনা পজিটিভ হওয়ার পর আমার শাশুড়িরও পজিটিভ হয়। তাকে এখন মুগদা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ নিয়ে বিটিভির বার্তা শাখায় কর্মরত রিপোর্টারদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিটিভির চীফ নিউজ এডিটর মুন্সী ফরিদুজ্জামান বলেন, শুধু পল্লব নয় বিটিভির আরো যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। আজও পল্লবের সঙ্গে কথা হয়েছে। সে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তার ভাই একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা তারা ভালো চিকিৎসার বিষয়টি জানবেন। কাজেই তার ভালো চিকিৎসা হচ্ছে।
পল্লবের করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর রাষ্ট্রীয় এ টেলিভিশনে বিভিন্ন চ্যানেলটিতে সরকারি ও চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বৈষম্যের বিষয়টি আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে অভিযোগ করেছেন একাধিক রিপোর্টার।