নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মা সায়েরা খাতুনের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সোমবার বিকালে অনুষ্ঠিত এই দোয়া ও মিলাদ মাহফিল শেষে বঙ্গবন্ধুর মাতা শেখ সায়েরা খাতুনের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পচাত্তরের ১৫ আগস্টের সকল শহীদ ও পরলোকগত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল সদস্যের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম এমপি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সদস্য সাহাবুদ্দীন ফরাজী প্রমুখ।
উপস্থিত নেতৃবৃন্দ আগামী ৭ জুন ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস এবং ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপির সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেন এবং দূরালাপনীর মাধ্যমে আলাপ-আলোচনা করেন।
কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের আলোচনায় বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে জনসমাগম হয় এমন রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ থাকায় গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস বিনির্মাণে ঐতিহাসিক ৭ জুন এবং ঐতিহাসিক ২৩ জুনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা উঠে আসে।
এসময় বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে করোনাভাইরাসে সৃষ্ট মারাত্মক সংকট উত্তরণ এবং করোনা পরবর্তী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি সমুন্নত রাখতে আওয়ামী লীগের করণীয় ও কর্মকৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
মোনাজাতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় বাংলাদেশের সফলতা, করোনায় মৃত্যুবরণকারীদের আত্মার মাগফিরাত ও চিকিৎসাধীন সকলের সুস্থতা কামনা করা হয়।