বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান
সংবাদ শিরোনাম ::
দলীয়করণের কারণে ক্রীড়াঙ্গন আজ তলানিতে : আমিনুল হক পদ্মা ব্যাংককে একীভূত করবে না, জানা‌ল এক্সিম ব্যাংক বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যা বললেন শান ঢাকাকে কাঁদিয়ে এনসিএল টি-টোয়েন্টির প্রথম চ্যাম্পিয়ন রংপুর মিয়ানমারের আরেক রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নিলো বিদ্রোহীরা যারা গণহত্যায় জড়িত ছিল তাদের বিএনপিতে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল বড়দিনের নিরাপত্তার দায়িত্বে সোয়াত-স্পেশালাইজড ইউনিট ৬ সংস্কার কমিশন শিগগিরই প্রস্তাব জমা দেবে: বদিউল আলম আওয়ামী স্বৈরাচারের  ১৭ বছরের নির্যাতন ভূলে যাওয়ার সুযোগ নেই : আমিনুল হক আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভূলে যাওয়ার সুযোগ নেই : আমিনুল হক

বিশেষ ছাড়ে ২ হাজার কোটি টাকা কমেছে খেলাপি ঋণ

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২০ জুন, ২০২০
  • ২২৭ বার পঠিত

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক: করোনাভাইরাস সংকটের কারণে ব্যাংক খাতকে অনেকগুলো সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। টাকা ফেরত না দিলেও আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো গ্রাহককে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত না করার নির্দেশ তার মধ্যে অন্যতম। এ ছাড়ে মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা কমে ৯২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকগুলো বলছে, এটি খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র নয়। কারণ এখন কাউকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৯২ হাজার ৫১০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। গত বছরের ডিসেম্বরে ১০ লাখ ১১ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ছিল ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ বা মোট ৯৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। তিন মাসের ব্যবধানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ও হার উভয় কমেছে। খেলাপি ঋণ কমেছে ১ হাজার ৮২০ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগের প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত বছরের মার্চে খেলাপি ঋণ ছিল ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৩ কোটি টাকা। ওই সময়ে বিতরণ করা ৯ লাখ ৩৩ হাজার ৭২৭ কোটি টাকা ঋণের ১১ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে খেলাপি ঋণ কমেছে ১৮ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা।

এদিকে ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণ হওয়ার পর থেকেই ব্যাংকগুলোর ঋণ আদায় অনেক কমে গেছে। এই সময়ে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য বিক্রি করতে না পারায় আয় কমে যায়। ফলে তারা ঋণের টাকা ফেরত দিতে পারেনি। অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকুরেদের আয় কমে যাওয়ায় ব্যক্তি পর্যায়ের ঋণের টাকাও ফেরত আসেনি। স্বাভাবিকভাবে খেলাপি ঋণ বাড়ার কথা। তবে এপ্রিলে সার্কুলার দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ঋণের টাকা ফেরত না দিলেও জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গ্রাহককে নতুন করে খেলাপি হিসেবে দেখানো যাবে না। তাদের ঋণের মান ডিসেম্বরে যা ছিল তাই দেখাতে হবে। এই ছাড়ের সময়কাল আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রাহক কোনো অর্থ না দিলেও খাতাকলমে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ বাড়বে না।

এবিষয়ে সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসরুর আরেফিন বলেন, করোনার কারণে সব খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঋণগ্রহীতার ঋণের টাকা ফেরত দিতে পারছেন না। বড় বড় করপোরেট গ্রুপ, শিল্পোদ্যোক্তা, এসএমই গ্রাহক এমনকি ক্রেডিটকার্ডসহ ভোক্তাঋণের গ্রাহকরা অর্থ ফেরত দিতে পারছে না। এতে ব্যাংকগুলোর আয় অনেক কমে গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে অর্থনীতির অধিকাংশ খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। তাই ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতার ব্যবসায়ের ওপর কোভিড ১৯-এর নেতিবাচক প্রভাব সহনীয় মাত্রায় রাখার লক্ষ্যে ঋণ পরিশোধ ও শ্রেণিকরণের নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ব্যবসা সচল রাখার জন্য নতুন ঋণ গ্রহণে বাধা সৃষ্টি হবে না। আবার মন্দার কারণে বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ বেড়ে ব্যাংকগুলোর ওপর চাপ বাড়বে না। কোনো ঋণ খেলাপি হয়ে গেলে সেই ঋণের বিপরীতে সুদ আয় দেখানো যায় না, উল্টো প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। এতে ব্যাংকগুলোর আয় কমে মুনাফা কমে যায়। এর ফলে শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত ব্যাংকগুলোর দেশের বাজারে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে তেমনি আন্তর্জাতিক বাজারের লেনদেনের নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com