শেখ রাজীব হাসান,নিজস্ব প্রতিনিধি: গাজীপুরের টঙ্গীতে যুব মহিলা লীগ নেত্রী শিল্পী আক্তারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। জানা যায় মহিলা নেত্রী শিল্পী আক্তার ও তার ভাই মুন্নার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে। ওই সন্ত্রাসী দ্বারা পরিচালিত হয় টর্চারসেল।
অপহৃতদের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, টঙ্গীতে ভাড়া বাসা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বসবাসকারী জালাল (২৫), খোকন (২৭) ও মোঃ রনি (৩০)। গত ২ জুলাই অভিনব কৌশলে চুরির অপবাদ দিয়ে শিল্পী ও তার ভাই মুন্না তাদেরকে টর্চারসেলে আটক রেখে ইলেকট্রিক শকসহ বিভিন্ন কায়দায় নির্যাতন করে আসছিল। দীর্ঘ ৯ দিন একটি অন্ধকার ঘরে ৩জনকে আটকে রেখে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এছাড়াও পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ১০হাজার টাকা দেওয়ার পরেও জিম্মি থাকা ৩ জনের পরিবারের কাছে মুক্তিপন বাবদ ৩ লক্ষ টাকা দাবী করে। দাবীকৃত ৩ লাখ টাকা না দিলে তাদেরকে মেরে গুম করার হুমকিও দেয়া হয়। এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-(১৮/০৭/২০২০)। ধারা-৩৬৫, ৩৮৬, ৩৮৭, ৩২৩ ও ৫০৬ পেনাল কোড।
এবিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক এসআই মোঃ শাহিন মোল্লা বলে, অভিযোগের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে এস আই আব্দুস সালাম ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে টঙ্গীর দত্তপাড়া এলাকায় শিল্পীর বাড়িতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করি। এ সময় শিল্পী আক্তারের বাড়ির টর্চারসেলে আটকে রাখা অপহৃত জালাল, খোকন ও মো: রনিকে উদ্ধার করি। এ সময় শিল্পীর ভাই মুন্নাকে আটক করলেও ঘটনার মূল হোতা শিল্পী আক্তারকে খোঁজে পাওয়া যায়নি। তাকে গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শিল্পীর ভাই মুন্না নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।