এম পারভেজ: বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্র, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এ্যাড. সাহারা খাতুন গত ৯ জুলাই মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৮ আসন শূণ্য হয়ে যায়। এ আসনে উপ-নির্বাচনে স্থানীয় অভিভাবক নির্ধারণে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ঐক্যমতের বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন আলহাজ্ব হাবীব হাসান।
তিনি বলেন মরহুম এ্যাড. সাহারা খাতুন ছিলেন আমাদের একজন অভিভাবক ও দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতা। মাননীয় প্রধান মন্ত্রির বিশ্বস্থ সহকর্মী হিসাবে মরহুম এড্যভোকেট সাহারা খাতুন বার বার এ আসনটিকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, তার মৃত্যুতে শূন্য এ আসনে সাংবিধানিক নিয়ম অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচন করা হবে। সেহেতু এখন থেকেই আমাদেরকে বৃহত্তর উত্তরার স্থানীয় সকল রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হয়ে শূন্য এই আসনের স্থানীয় অভিভাবক নির্ধারণ করার লক্ষ্যে নিঃশার্থ ভাবে কাজ করে যেতে হবে।
আলহাজ্ব হাবীব হাসান ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তিনি বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, এর আগে ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক। দীর্ঘদিন বৃহত্তর উত্তরা থানা আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করায় নেতা কর্মী এবং সাধারন জনগনের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি হয়েছে। এরশাদ বিরোধি আন্দলন থেকে শুরু করে হাবিব হাসান উত্তরায় আওয়ামী লীগের সক্রীয় নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত। এ জন্য তিনি নানা ধরনের হয়রানির শিকার হয়েছেন এবং বহুবার কারাভোগ করতে হয়েছে তাকে।
২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি জামাত জোট সরকারের সময় মামলা-হামলা ও কারা নির্যাতনের চরম শিকার হন আলহাজ্ব হাবিব হাসান। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সময় করাবন্দি দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির সংগ্রামে উত্তরায় একক নেতা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন হাবিব হাসান। সভানেত্রীর মুক্তির দাবীতে গণ স্বাক্ষর গ্রহণে তার উদ্দ্যোগ বেশ আলোড়ণ সৃস্টি করেছে যা উত্তরা বাসী আজও মনে রেখেছে। বিভিন্ন সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে জেলে যাওয়া কর্মীদের আইনি ও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান এবং পরিবারের ভরনপোষনের দায়িত্ব নেয়া সহ নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষার কারণে তিনি এলাকায় কর্মীবান্ধব নেতা হিসাবে বিশেষ ভাবে পরিচিত।
আলহাজ্ব হাবীব হাসান আরো বলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের সাতটি থানা নিয়ে ঢাকা-১৮ আসন গঠিত। থানা গুলোতে রয়েছে অভিজ্ঞ, মেধাবী ও প্রবীন রাজনীতিবীদ, এদের মধ্যে খিলক্ষেত থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি- কেরামত আলী দেওয়ান, ঢাকা মগানগর যুবলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক-সরদার বেলায়েত হোসেন মুকুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক- বীর মুক্তযোদ্ধা তোয়াজ্জল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি- মোঃ নাজিম উদ্দিন, উত্তরখান থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি- মোঃ কামাল উদ্দিন, দক্ষিণখান থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি- এ্যাড. আবু হানিফ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক- এস.এম মাহাবুব সহ তুরাগ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি- মোঃ আবুল হাসেম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর- আলহাজ্ব আফসার উদ্দিন খাঁন, উত্তরখান থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ৪৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল- শফিকুল ইসলাম, উত্তরা পূর্ব থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি- মোঃ কুতুব উদ্দিন, ঢাকা মহানগ উত্তর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি- মফিজ উদ্দিন বেপারী, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাঈদুর রহমান সরকার, ইঞ্জিনিয়ার আনোয়ার সহ সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমাদেরকে ঢাকা-১৮ আসনের আগামীদিনের অভিভাবক নির্ণয় করতে হবে।
তিনি আরও বলেন তৃণমুল নেতাকর্মীদের বিশ্বাস আমরা কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌছতে হলে এই আসনের নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের সাথে নিয়ে সকল সিনিয়র নেত্রীবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ হলে আমরা আমাদের স্থানীয় অভিভাবক নির্ধারণ করতে পারব।