জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : করোনা পরিস্থিতিতে অর্থনীতির চাকা গতিশীল রাখতে ক্ষুদ্র, মাইক্রো, কুটির ও মাঝারি শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের সহায়তায় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ঋণ বিতরণ কার্যক্রম তদারকিসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।
প্রণোদনা বিতরণে সার্বক্ষণিকভাবে প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য বিসিকের ছয় পরিচালককে দায়িত্ব দিয়ে ১৫ জুলাই এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বিসিক। আদেশে পরিচালক (প্রযুক্তি ও দক্ষতা) ড. মোহা. আব্দুস ছালামকে রাজশাহী, পাবনা, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহ, নড়াইল ও মাগুড়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিচালক (অর্থ) স্বপন কুমার ঘোষকে সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও ঢাকার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিচালক (শিল্প উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) মো. খলিলুর রহমান রংপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, নওগাঁ ও বগুড়ার দায়িত্ব পেয়েছেন। পরিচালক (বিপণন, নকশা ও কারুশিল্প) মো. আলমগীর হোসেন খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী, বরগুনা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুরের দায়িত্ব পেয়েছেন। পরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) ড. গোলাম মো. ফারুককে ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, শেরপুর, জামালপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিচালক (প্রকৌশল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন) মোহাম্মদ আতাউর রহমান সিদ্দিকীকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর ও ভোলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদনক্রমে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতিটি জেলায় এসএমই ঋণ বিতরণ কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর এসএমই ঋণ বিতরণ মনিটরিং কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা করবেন।
বিসিকের চেয়ারম্যান মো. মোশতাক হাসান জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ৪২টি জেলার এসএমই ঋণ বিতরণ কমিটির সভা হয়েছে। মিটিংয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট জেলাগুলোর সভাও খুব শিগগির হবে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষুদ্র, মাইক্রো, কুটির ও মাঝারি শিল্পের লোন রিকভারি রেট ৯৯ শতাংশ। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানকে ব্যাংক থেকে ঋণ দেওয়া হলে তারা ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি ও মাঝারি থেকে বৃহৎ শিল্পে পরিণত হতে পারবে এবং দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।