মাদারীপুর প্রতিনিধি: ‘মাদারীপুর শহর রক্ষা বাঁধ ৩০ বছর আগে নির্মিত। তাই বর্তমান প্রেক্ষিতে এই শহর রক্ষা বাঁধ কিভাবে টেকসই করা যায় সে জন্য একটি টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ীই কাজ করা হবে। আগামী বর্ষার আগেই এই প্রকল্প কাজ শুরু হবে’-শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে মাদারীপুর শহর বাঁধের প্রায় ২০০ ফুট এলাকা ধসে যাওয়া স্থান পরিদর্শনে এসে পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম এসব কথা বলেন।
এর আগে মাদারীপুর পৌরসভায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, আমি নদী ভাঙা মানুষ। জন্মের পর পরিবার ৫-৬ বার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। আমার পরিবারের বসতবাড়ি ছিল শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায়। আমার জন্মের দুই বছর পর বাড়ি ভেঙে গেলে দাদা তখন বাড়ি করেন নদীর অপরদিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলায়। নদী ভাঙনে আমি এখন সখিপুর থানার বাসিন্দা।
একেএম এনামুল হক শামীম আরও বলেন, নদী ভাঙনের শিকার মানুষের কষ্ট আমি বুঝি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশের নদী ভাঙনে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার চিহ্নিত করে উন্নয়নের কাজ করা হচ্ছে। মন্ত্রী তো আমি বেশি দিন থাকবো না। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মী আমৃত্যু থাকবো। কেউ যেনও আমাকে না বলতে পারে, মন্ত্রী থাকা অবস্থায় কোনও জায়গায় বলেও সেই কাজ করিনি।
উপমন্ত্রী বলেন, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী জেলার জন্য সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এই অঞ্চলে আগামী তিন থেকে সাড়ে তিন বছরের মধ্যে ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তাঘাটের উন্নয়নের এলজিইডি’র মাধ্যমে কাজ করা হবে।
তিনি আরও যোগ করেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী থাকেন তখন সারা দেশে সুষম উন্নয়ন হয়। বগুড়াতেও উন্নয়ন হয়, নোয়াখালীতেও হয়। কিন্তু তিনি যখন প্রধানমন্ত্রী থাকেন না তখন বৃহত্তর ফরিদপুরে প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করা হয়। সুতরাং এ সময় বৃহত্তর ফরিদপুরকে বেশি করে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে।
পরে তিনি মাদারীপুর শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপি, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পৌর মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।