অর্থনৈতিক ডেস্ক: যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার অলিভ অয়েল রফতানি খাত গত বছর চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি সর্বোচ্চ অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। চলতি বছর অপরিবর্তিত থাকতে পারে সিরিয়ার অলিভ অয়েল রফতানি। যদিও চলতি বছর দেশটিতে অলিভ অয়েল উৎপাদন আগের তুলনায় কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এগ্রিমানি ও অলিভ অয়েল টাইমস এর প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে সিরিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৪০ হাজার টন অলিভ অয়েল রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় রেকর্ড ৬০ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালেও দেশটি থেকে একই পরিমাণ অলিভ অয়েল রফতানি হতে পারে। সিরিয়ার ইতিহাসে ২০০৬ সালে সবচেয়ে বেশি অলিভ অয়েল রফতানি হয়েছিল। ওই বছর মোট ৫৫ হাজার টন অলিভ অয়েল রফতানি করেছিলেন সিরীয় রফতানিকারকরা।
এদিকে চলতি বছর সিরিয়ায় অলিভ অয়েলের উৎপাদন আগের বছরের তুলনায় ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২০ সালে সিরিয়ায় সব মিলিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার টন অলিভ অয়েল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর দেশটিতে মোট ১ লাখ ৪০ হাজার টন অলিভ অয়েল উৎপাদন হয়েছে। সেই হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে সিরিয়ায় অলিভ অয়েল উৎপাদন কমছে ১০ হাজার টন। ২০১০ সালে সিরিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ১ লাখ ৯৬ হাজার টন অলিভ অয়েল উৎপাদন হয়েছিল।