সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

যেসব কারণে হামলার শিকার হন ইউএনও ওয়াহিদা

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২১৮ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: ত্রিমুখী আক্রোশের শিকার হয়েছেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানম। বাসায় ঢুকে তাকে ও তার বাবাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি।

জানা গেছে, ঘোড়াঘাটের ইউএনওর দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি ওয়াহিদা খানম। ওই উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত ছিল মাদক চোরাচালানের নিরাপদ রুট। কিন্তু ইউএনও তৎপরতায় মাদক ব্যবসায়ীরা বিশেষ সুবিধা করতে পারছিল না। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরেই ওয়াহিদা খানমের প্রতি ক্ষুব্ধ মাদক ব্যবসায়ীরা।

এদিকে করোনা মহামারিতে তার এলাকায় ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। অভিযান চালিয়ে সেসব ত্রাণ উদ্ধার ও অভিযুক্তদের বরখাস্ত করেন ইউএনও ওয়াহিদা খানম। এ কারণে তার প্রতি ক্ষুব্ধ ছিলেন বরখাস্ত ও ত্রাণ আত্মসাতে জড়িতরা।
জানা গেছে, ঘোড়াঘাটে জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুর, চাঁদাবাজি, অবৈধভাবে বালু তোলাসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছেন ওয়াহিদা খানম।  এসব অপরাধে জড়িত কয়েকজন চিহ্নিত ব্যক্তি নিয়মিত হুমকি দিত ইউএনওকে। তারাও হামলার ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। এই ত্রিমুখী ক্ষোভের কারণেই ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা করা হয়েছে বলে ধারণা ঘোড়াঘাটের সচেতন নাগরিকদের।

বুধবার রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে সরকারি বাসভবনের ভেন্টিলেটর ভেঙে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে দুই দুর্বৃত্ত। ওই সময় বাসার নৈশপ্রহরীকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভোরে ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে ইউএনওকে রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে নেয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাতুড়ির আঘাতে ওয়াহিদা খানমের মাথার খুলি ভেঙে ভেতরে ঢুকে গেছে। এতে তার ডান হাত ও পা অচল হয়ে পড়েছে। এখনই অপারেশন করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ দিকে, এ ঘটনায় রংপুর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাব বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে- হামলাকারীরা দুইজন ছিল। তাদের একজনকে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা গেছে। আরেকজনের চেহারা বোঝা যাচ্ছিল না।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com