লাইফস্টাইল ডেস্ক: প্রত্যেকটি মানুষের জন্য ঘুম অতিপ্রয়োজনীয়। সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত ঘুম খুব জরুরি। তবে অনেকেই আছেন যারা ঘুম নিয়ে কোনো না কোনো সমস্যায় ভুগেন। কারো সমস্যা অতিরিক্ত ঘুমানো, আবার কারো সমস্যা রাতে ঘুম না আসা।
তবে এদের মধ্যে ঘুম না আসা নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন বেশিরভাগ মানুষ। পর্যাপ্ত পরিমাণের ঘুমের অভাব প্রভাব ফেলে দিনের অন্যান্য কাজের উপরও। এছাড়া এর ফলে মেজাজ খিটখিটে, শরীর খারাপ ইত্যাদি সমস্যাও দেখা দেয়। অনেকেই আবার এই সমস্যা দূর করতে ঘুমের ওষুধও সেবন করে থাকেন। যা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
সমস্যা সমাধানে ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট সময় মেনে চলা খুবই জরুরি। প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার নিয়ম মেনে চললে অনেক অসুখ থেকেই দূরে থাকা সম্ভব। তবে ভালো ঘুমের জন্য বাদ দিতে হবে কিছু অভ্যাসও। কারণ সেই অভ্যাসগুলোই ঘুম না আসার জন্য দায়ী। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই অভ্যাসগুলো সম্পর্কে-
চা কিংবা কফি
চা কিংবা কফি কোনোটাই স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত তা পরিমিত খাওয়া হয়। তবে অসময়ে কিংবা অতিরিক্ত চা বা কফি পান করলে তা স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কখনোই চা বা কফি পান করবেন না। চা আর কফিতে থাকা ক্যাফেইন ঘুম নষ্ট করে দিতে পারে। অ্যাড্রিনালির নিঃসরণ বাড়িয়ে ঘুমকে দূরে ঠেলে দিতে পারে।
তৈলাক্ত খাবার
ভাজাভুজি, নানারকম মজাদার তৈলাক্ত খাবার খেতে বেশ লাগে। কিন্তু খাওয়ার পরে দেখবেন, রাতে আর ঘুম আসতে চাইছে না। কারণ হজম প্রক্রিয়া ঠিক না থাকলে ঘুম দূরে পালাবেই। তাই রাতে এমন সব খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ঘুমের আগে স্ন্যাকস বা জাঙ্ক ফুডও এড়িয়ে চলুন।
মোবাইল বা ল্যাপটপে স্ক্রল
ঘুমের আগে বিছানায় শুয়ে মোবাইল বা ল্যাপটপে চোখ রাখার মতো বদ অভ্যাসই আপনার ঘুমকে দূরে ঠেলে দিচ্ছে। এর ফলে স্ক্রিনের নীল আলো চোখের বারোটা তো বাজায়ই, সেইসঙ্গে ঘুমের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলে। ডিজিটাল স্ক্রিন মস্তিষ্ক থেকে মেলাটোনিন নিঃসরণে বাধা দেয়। মেলাটোনিন আমাদের ঘুমাতে সাহায্য করে। এখন থেকে ঘুমের সময় সব রকম গ্যাজেট থেকে দূরে থাকুন।
ধূমপান
ধূমপান শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপানের কারণে শ্বাসনালী ও ফুসফুসের ক্ষতি হয়, পাশাপাশি ব্যাঘ্যাত ঘটে ঘুমের ক্ষেত্রেও। চাপ কমাতে অনেকে সিগারেট খেয়ে থাকেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। সিগারেটে থাকা নিকোটিন ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। যেকোনো ধরনের তামাকজাত দ্রব্য ঘুমের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। তাই ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
ভয়ের কোনো সিনেমা
ঘুমাতে যাওয়ার আগে সিনেমা দেখার অভ্যাস থাকে অনেকের। থ্রিলার মুভি দেখা অনেকেরই পছন্দের কাজ। কিন্তু এ ধরনের সিনেমা দেখলে শরীরে অ্যাড্রিনালিনের নিঃসরণ হয়। এর ফলে দূরে পালায় ঘুম। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভয়ের কোনো সিনেমা দেখা থেকে বিরত থাকুন।