ডেস্ক: করোনাভাইরাস অতিমারী থেকে মুক্তি পেতে মরিয়া সারা পৃথিবীর মানুষ তাকিয়ে রয়েছেন ভ্যাকসিন কবে আসবে, সেদিকে। আগামী বছরের শুরুতেই দেশে পর্যাপ্ত করোনা ভ্যাকসিন মিলবে, এমন আশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে আশার কথা শোনাতে পারলেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস। তিনি মেনেই নিলেন, করোনার সব ভ্যাকসিনই যে কাজ করবে, এমন নিশ্চয়তা দেয়া সম্ভব নয়।
এক ভারচুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘আমরা কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারব না যে পরীক্ষাধীন সব ভ্যাকসিনই কার্যকরী হবে। যত বেশি স্বেচ্ছাসেবকদের উপর আমরা পরীক্ষা করতে দেব, তত একটি নিরাপদ ও কার্যকরী ভ্যাকসিনের খোঁজ পাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘প্রায় দু’ই শ’টি ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে গোটা বিশ্বে। ভ্যাকসিন তৈরির ইতিহাস আমাদের বলে দিচ্ছে, কেউ কেউ ব্যর্থ হবে, কেউ সফল হবে।’’ কোভিড-১৯’এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার যে কোনো প্রতিযোগিতা নয়, সে কথা ফের মনে করিয়ে দিয়ে হু প্রধানের পরামর্শ, দেশগুলোকে একে অপরকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সমস্ত দেশকে এ বিষয়ে একযোগে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে তিনি জানান, করোনা প্রতিষেধর আবিষ্কার করা সব দেশেরই মূল লক্ষ্য। যে দেশগুলো গবেষণায় এগিয়ে গেছে, তাদের উচিত বাকিদের সাহায্য করা।
হু প্রধানে কথায়, ‘‘এটা কোনো চ্যারিটির বিষয় নয়। একসঙ্গেই আমাদের ডুবতে হবে বা ভাসতে হবে। এই অতিমারীকে খতম করতে এবং গোটা বিশ্বের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দ্রুততম পথ হলো, সব দেশেরই কিছু কিছু মানুষের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা। কিছু কিছু দেশের সব মানুষের শরীরে তা প্রয়োগ নয়।’’