সাইবার অপরাধের মামলায় কারাবন্দি প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে সিআইডিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন।
সোমবার বিকেলে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন।
এর আগে ১৯ অক্টোবর ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ডজন মামলার আসামি প্রতারক সিকদার লিটনকে গ্রেফতার করে র্যাব-৮। পরবর্তীতে রাজধানীর কলাবাগান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় সিআইডি। সেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন।
সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি মিডিয়া) জিসানুল হক অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ঢাকায় সাইবার অপরাধের একটি মামলায় গ্রেফতার প্রতারক সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে অনেকে সিআইডির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সোমবার বিকালে আলফাডাঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এস এম আকরাম হোসেন সিকদার লিটনের বিরুদ্ধে সিআইডির কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে লিখিত অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম হোসেন বলেন, সিকদার লিটন আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের মদদে এবং স্থানীয় কিছু লোকের যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে ফেসবুকে মিথ্যা তথ্য প্রচার করত। পাশাপাশি আমার নামে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ প্রচার করেছে, যা সম্পূর্ণ অবাস্তব। ফরিদপুর ও আলফাডাঙ্গার বিভিন্ন ব্যক্তির নামেও সে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছে। তাছাড়া চাঁদাবাজি ও প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত সিকদার লিটন বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও স্থানীয় সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও নানান অপপ্রচার করত। সে (লিটন) আমার বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে দিয়ে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
অভিযোগে তিনি আরও বলেন, সিকদার লিটন এলাকার অনেক সাধারণ মানুষকে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করেছে। সে বেশ কয়েকটি চাঁদাবাজি ও সাইবার অপরাধের মামলারও আসামি। আমি তার বিচার দাবি করছি।
এদিকে ভয়ংকর এই প্রতারকের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় হত্যাচেষ্টা, প্রতারণা, চাঁদাবাজি, সাইবার অপরাধসহ বিভিন্ন অভিযোগে ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এমন কোনো অপরাধ নেই, যার সঙ্গে জড়িত নয় সিকদার লিটন। নিজের শ্বশুরের নামেও পাঁচটি মামলা করেছিলেন তিনি। কিছু অসৎ রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে লিটন একের পর এক অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।