নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানী ঢাকার উত্তরার উত্তরখানে অবস্থিত সুলতানুল আউলিয়া হযরত শাহ কবির (রহ:) মাজার। এছাড়াও এখানে রয়েছে-হযরত শাহ কবির (রহ:) এর সহধর্মীনি বিবি সাহেবার মাজার, ছেলে হাবিব শাহ্ ও হযরত পাগল শাহ্ এর মাজার। আজ ঢাকা-১৮ আসনের নব নির্বাচিত সাংসদ আলহাজ্ব হাবীব হাসান হযরত শাহ্ কবির (রহঃ) কেন্দ্রিয় জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ পড়তে এসে মাজারের উন্নয়নের কাজ পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন পর মাজারের উন্নয়ন কাজ চলছে, মাজারটি এখন সুন্দর লাগছে, কাজ অব্যাহত থাকবে, তবে উন্নায়ন কাজ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বিরোধ মিটে যাবে ইনশাল্লাহ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, এই মাজারটি প্রায় ৩৫০ বছরের পুরানো। প্রতিদিন মাজারে আগত ভক্তবৃন্দরা হাজার হাজার টাকা দান করলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে মাজারটি দীর্ঘ দিন উন্নয়ন থেকে অবহেলিত রয়েছে। জানাযায় প্রতিদিন শত শত ভক্তবৃন্দ এই মাজারটি জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে আসে। সরে জমিনে অনুসন্ধানে যানা যায়, আশেকে রাসুল, ওলি-আউলিয়া প্রেমিক আশেকান, ভক্তবৃন্দ, পাগল ফকির ও এলাকার ভক্তবৃন্দরা বিভিন্ন মানত করে এখানে জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আসে।
মাজারের ভিতরে মহিলাদের বিশ্রাম এবং নামাজের জন্য আলাদা কোন ব্যবস্থা না থাকায় তারা মনের মত করে জিয়ারত এবং সময়মত নামাজ পড়তে পারেনা বলে অভিযোগ করেন। প্রায় ১৪ বছর আগে হযরত শাহ্ কবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি মুসল্লিদের নামাজের জন্য বড় করে নির্মাণ করা হলেও ওলিদের মাজারের কোন পরিবর্তন হয়নি।
একাধিক সূত্রে আরও জানাযায়, এলাকার স্থানীয় জনগণ ও আশেকান ভক্তবৃন্দের অনুরোধে প্রমি এগ্রো ফুডস্ লিমিটেড এর চেয়ারম্যান এনামুল হাসান খান শহীদ স্থানীয় রাজনৈতিক নেত্রীবৃন্দ, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও ৪৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীনকে সাথে নিয়ে হযরত শাহ্ কবির মাজার এষ্টেটে পাগল ফকিরদের জন্য এবাদত খানা, বাউল শিল্পিদের জন্য ও আশেকানদের বসার ঘর , মহিলাদের জন্য বিশ্রামাগার সহ নামাজের জন্য আলাদা ব্যবস্থা করেন।
এছাড়াও হযরত শাহ্ কবির (রহঃ) এর মাজার ও হযরত পাগল শাহ্ (রহঃ) মাজারটির দুই পাশে বর্ধিত অংশে জিয়ারতে মনোরম পরিবেশ তৈরি করে মাজারের উন্নয়ন কর্মের জন্য জনমনে সমাদ্ধিত হয়েছেন এনামুল হাসান খান শহীদ (সিএইপি)।
তিনি হযরত শাহ্ কবির (রহঃ) এস্টেস্ট কেন্দ্রিয় জামের মসজিদের বাহিরের অংশে নিজ তহবিল থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মসেজিদের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি সহ নানান ধরনের উন্নয়ন কাজ হাতে নিয়েছেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, প্রমি গ্র্রুপের চেয়ারম্যান এনামুল হাসান খান শহীদ করোনা কালীন সময়ে উত্তরখান এলাকার প্রায় ১০ হাজার বেকার, গরীব ও অসহায় পরিবারকে কয়েরক দফায় ত্রাণ সহায়তা করেন। এছাড়ও তিনি অনেককেই নগদ অর্থ ও এলাকার বেকারত্ব দূর করার লক্ষ্যে শতাধিক অটো রিক্সা বেকার যুবকদের মাঝে বিতরণ করে এলাকায় দানবীর হিসাবে পরিচিত লাভ করেছেন।