নিউজ ডেস্ক: পর্তুগালে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান পর্তুগালের রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানী লিসবনে অবস্থিত পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন ‘প্যালাসিও দ্যা বেলেম’-এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পর্তুগালের রাষ্ট্রপতি প্রফেসর মারসেলো রেবেলো দ্য সওজার কাছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত তার পরিচয়পত্র পেশ করেন।
রাষ্ট্রদূত মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে ‘বাংলাদেশ ভবন’ হতে ‘প্যালাসিও দ্য বেলেম’ গিয়ে পৌঁছালে সেখানে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের অভ্যর্থনা গ্রহণকালে বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়।
পর্তুগালের রাষ্ট্রপতির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র প্রদানকালে সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পর্তুগিজ সম্প্রদায় বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বেরতা নুনেস, রাষ্ট্রপতির কূটনৈতিক বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা অ্যানা মাটির্নও, রাষ্ট্রাচার প্রধান ক্লারা নুনেজ দস সান্তোস, রাষ্ট্রপতির অসামরিক ও সামরিক উপদেষ্টা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব আব্দুল্লাহ আল রাজী উপস্থিত ছিলেন।
পরিচয়পত্র পেশ শেষে পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে একটি সৌজন্য বৈঠক হয়। রাষ্ট্রদূত তাকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। বাংলাদেশ ও পর্তুগালের মধ্যে বিদ্যমান ‘৫০০ বছরের’ ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বর্তমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করার ক্ষেত্রে প্রচেষ্টা গ্রহণের সংকল্প ব্যক্ত করেন।
এ সময় পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে সম্প্রতি বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস ও বাংলাদেশ ভবন ক্রয়ের কথা উল্লেখ করেন বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত। একই সঙ্গে ঢাকায়ও পর্তুগিজ দূতাবাস স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনার জন্য পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন তিনি।
পর্তুগিজ রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ রাষ্টদূতের উত্থাপিত বিষয়সকে গুরুত্ব সহকারে শুনেন এবং রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ ও শান্তি কামনা করে তাদের শুভেচ্ছা দেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি লিসবনে বাংলাদেশের নিজস্ব দূতাবাস ক্রয়ের সংবাদে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এর ফলে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও বেগবান হবে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে পর্তুগিজ দূতাবাস স্থাপনের বিষয়টি পর্তুগিজ সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন। এছাড়াও সৌজন্য সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতি পর্তুগালে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের কর্মদক্ষতা এবং আন্তরিকতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।