জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে চলমান পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করেছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন চলাকালে অন্তত ১৫ জনের অধিক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে থেকে আন্দোলন করার পর দুপুর ২টার দিকে তারা তাদের আন্দোলন স্থগিত করে। এ সময় শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, তাদের দাবি মনে নেওয়া না হলে রোববার সারাদেশে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবিদ হুসাইন বলেন, আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হলে রোববার সারাদেশে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ সময় আন্দোলন চলাকালে যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত হওয়া পরীক্ষা সচলের দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আন্দোলন করে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থী জড়ো হওয়ার চেষ্টা করে সেখান থেকে ১০ জন আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ এবং শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পরে আন্দোলনররত শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে জড়ো হয়ে মিছিল নিয়ে শাহবাগ থানার সামনে অবস্থান নেয়।
সেখানে অবস্থানকালে অন্তত ৫ জনকে আটক করে পুলিশ এবং সেখান থেকে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়। পরে তারা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে জামায়েত হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম তাদের সেখানে দাঁড়াতে দেয়নি। তখন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সেখান থেকে সরে গিয়ে আজকের মতো আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়।
এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ। শাহবাগ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ বলেন, শাহবাগ থেকে আমরা ১০-১২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে নিয়েছি। এদের মধ্যে ২-৩ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের। তাদের অভিভাবকদের খোঁজ নেওয়া হয়েছে। তারা আসলেই আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়া হবে।