ফুরিয়ে যাননি। বরং এখনও প্রতিপক্ষের জন্য মূর্তিমান আতঙ্ক। আইপিএলের ১৪তম আসর দেখছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের রুদ্রমূর্তি। ২০১৮ সালে ফর্মের তুঙ্গে থেকেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই বলে দেয়া, মিস্টার থ্রি সিক্সটি ডিগ্রি কী আবারও ফিরছেন প্রোটিয়াদের জার্সিতে?
এমন প্রশ্নে অবশ্য ইতিবাচক ইঙ্গিতই দিলেন ভিলিয়ার্স নিজেই। বললেন, আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার পরিকল্পনা আছে তার। আফ্রিকান কোচ মার্ক বাউচারের সঙ্গে কথা বলেই নেবেন পরবর্তী সিদ্ধান্ত।
তার ব্যাটে যেন রচিত হয় রূপকথা। ২২ গজে তার পদার্পণ মানেই চার ছক্কার ফুলঝুড়ি। কখনো কখনো আবার দলের প্রয়োজনে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে হয়ে ওঠেন শক্ত দেয়াল। এবি ডি ভিলিয়ার্স মানেই যেন ক্ল্যাসিক ক্রিকেটের দারুণ এক উদাহরণ।
সময়টা ২০১৮’র মে মাস। হঠাৎই সবাইকে অবাক করে দিয়ে ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় বিদায় বলেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। যদিও নিয়মিত খেলছিলেন আইপিএলসহ ফ্রাঞ্চাইজিভিত্তিক ক্রিকেটে। এরপর গুঞ্জন উঠেছিলো ১৯’এর ওয়ানডে বিশ্বকাপ কিংবা গেল বছরের বাতিল হয়ে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফিরছেন এবি। তবে শেষ পর্যন্ত তার কোনটাই বাস্তবে রূপ নেয়নি।
ভারতে অনুষ্ঠেয় আইপিএলের চলমান আসরে ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে যথারীতি তাণ্ডব চলছে ভিলিয়ার্সের ব্যাটে। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও অনুষ্ঠিত হবে ভারতে। তাইতো ভক্তদের অনেকেই চাইছেন বিশ্বকাপে খেলুন তিনি। তবে এই প্রথম কথা বললেন নিজের ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে।
এবি ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘গতবছর বাউচার আমার কাছে জানতে চেয়েছিলেন আমি অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরতে আগ্রহী কি না? উত্তরে আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ। এবার এখনও কোচের সঙ্গে কথা হয়নি। আইপিএল চলকালীন কোনো এক সময়ে কথা বলার অপেক্ষায় আছি আমরা। যদি সুযোগ পাই তবে সেটা হবে দারুণ কিছু। তবে শেষ পর্যন্ত আইপিএল শেষে নিজের ফিটনেস দেখেই সিদ্ধান্ত নেব।’
অবশ্য ভিলিয়ার্সের অনুপস্থিতিতেও দারুণভাবে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে প্রোটিয়ারা। ভ্যান ডুসেন, মার্কামরা দিচ্ছেন আস্থার প্রতিদান। তাইতো দলে ফিরতে চাইলেও সমস্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করার পক্ষে তিনি।
এবি ডি ভিলিয়ার্স আরও বলেন, ‘গেলো কয়েকবছর যারা পারফর্ম করছেন প্রথমত সুযোগ তাদেরই প্রাপ্য। একইসঙ্গে পরিস্থিতিও বিচার করে দেখতে হবে। সেখানে যদি আমার জায়গা না থাকে তবে সেটাও মেনে নিতে হবে। তবে আবারও বলছি দেশের হয়ে খেলতে আমি ভীষণ আগ্রহী।’
চলতি বছরের অক্টোবর নভেম্বরে ভারতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে ভিলিয়ার্স যদি ফেরেন শুধু দক্ষিণ আফ্রিকা নয়, তা বাড়তি মাত্রা যোগ করবে পুরো বিশ্বকাপের সৌন্দর্য্যে।