পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মোবাইল চোর সন্দেহে সানাউল (১৩) নামে ছিন্নমূল এক কিশোরকে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত উপজেলার হোগলপাতি গ্রামে একটি ফার্মেসিতে আটিকিয়ে প্লাস দিয়ে ওই কিশোরের হাতের আঙুল ও নাক চেপে-চেপে নির্যাতন করা হয়।
পরে স্থানীয় চৌকিদার ও ইউপি সদস্য ওই কিশোরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এলে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। সানাউল হোগলপাতি গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
গুরুতর আহত সানাউল জানায়, সে একটি মোবাইল সিমকার্ড কুড়িয়ে পেয়ে এক সপ্তাহ ধরে ব্যবহার করছে। বুধবার সন্ধ্যার পর স্থানীয় মৃত আব্দুস সামাদ মিয়ার ছেলে ওষুধ ব্যববসায়ী সোহাগ ও অন্য দুজন তার ফার্মেসিতে আটকিয়ে মোবাইল চোর সন্দেহে প্লাস দিয়ে তার শরীরে নির্যাতন চালায়।
স্থানীয় চৌকিদার জসিম উদ্দিন বলেন, সানাউলের চিৎকার শুনে প্রথমে রাত ৮টার দিকে ওই ফর্মেসির দরজায় ধাক্কা দিই এবং মারতে নিষেধ করে আমি তারাবি নামাজে চলে যাই। রাত ১১টার দিকেও তাকে মারধর করার খবর পেয়ে মেম্বরকে নিয়ে সানাউলকে উদ্ধার করি।
ইউপি সদস্য মো. জাকির হোসেন বলেন, সানাউলের ওপর নির্যাতনের সংবাদ পেয়ে চৌকিদারের সহযোগিতা নিয়ে উদ্ধার করে প্রথমে থানায়, পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
তিনি আরও বলেন, যে মোবাইল চুরি করার অভিযোগ করেছে সেটি সোহাগেরও নয়। অহেতুক ছেলেটাকে নির্যতন করা হয়েছে। এ ব্যপারে ওষুধ ব্যবসায়ী সোহাগের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মঠবাড়িয়া থানর ওসি মাসুদুজ্জামান বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।