মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ও দেশটিতে চলমান বিক্ষোভের পরিস্থিতিতে গভীরতর আর্থিক সংকটে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা দ্রুত গতিতে বাড়ছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছে, চলমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী মাসগুলোতে দেশটির লাখ লাখ নাগরিক অনাহারে পড়বে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের সংস্থা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) এক গবেষণায় দেখা গেছে, অসংখ্য মানুষ চাকরি হারানো, খাবারের দাম বৃদ্ধি, উৎপাদন ব্যবস্থায় অস্থিতিশীলতা ইত্যাদি কারণে আগামী তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে দেশটির ৩৪ লাখ নাগরিককে খাদ্য জোগাড় করতে সংগ্রাম করতে হবে।
ডব্লিউএফপির মিয়ানমারের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফেন অ্যানডারসন বলেন, ‘চাকরি হারানো দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক আর তাদের খাবার কেনার সামর্থ্য নেই। খাদ্য নিরাপত্তার উদ্বেগজনক অবনতি রোধ করতে ও দুর্ভোগের আশু উপশমে এখন একটি সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন।’
সংস্থাটি জানায়, ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে চলতি মাস পর্যন্ত চালের মূল্য পাঁচ শতাংশ ও ভোজ্যতেলের মূল্য ১৮ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। এতে দেশটির বহু পরিবার পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে সংস্থাটি তার কার্যক্রম তিনগুণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। এ জন্য ডব্লিউএফপি ইতোমধ্যে ১০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের তহবিলের আবেদন জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১ ফেব্রুয়ারি এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারপর থেকে নাগরিক বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৭৩৮ জনের বেশি মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীগুলোর গুলিতে নিহত হয়েছে।