নিউজ ডেস্ক : আমের যত গুণ সেই সাথে আম পাতারও ঠিক ততই গুণ। নানা রোগের নিরাময়ে প্রাচীনকাল থেকে আম পাতা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমপাতায় বিভিন্ন খনিজ উপাদান আছে। এর মধ্যে আছে ভিটামিন, এনজাইম, অ্য়ান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ উপদান।আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে আমপাতা ব্যবহারে কী কী রোগ নিরাময় হয়, তার বর্ণনা আছে। আম পাতায় মেঞ্জিফিরিন নামক একটি সক্রিয় উপদান থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। আম পাতার উপকারিতার কথা চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে: আমপাতা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজে লাগে। এতে ট্যানিনস নামক অ্যান্থোসায়ানিডিন থাকে, যা শুরুর দিকে ডায়াবেটিস নিরাময় করতে পারে। আমপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো রাখতে পারেন। তারপর গরম পানিতে দিয়ে চায়ের মত পান করতে পারেন। অথবা পাতা সারারাত ভিজিয়ে রেখে দিতে পারেন। তারপর সকালে সেই পানি ছেঁকে খেতে পারেন।
২. উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ কমাতে পারে আমপাতা। এ পাতায় হাইপোট্যান্সিভ উপাদান আছে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমতে সাহায্য করে।
৩. ক্লান্তি দূর করে: যারা বিষণন্নতায় ভুগেন, ঘুমাতে পারেন না তাদের জন্য ঘরোয়া ওষুধ আমপাতা। কয়েকটি আমপাতা গোসলের পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে শরীর শান্ত হবে এবং শরীর সতেজ হবে।
৪. কিডনি সুরক্ষায়: কিডনি ও গল ব্লাডারের পাথর দূর করতে পারে আমপাতা। এ পাতার গুঁড়ো পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রেখে খেলে পাথর দূর করা সম্ভব।
৫. মুখের সমস্যা দূর করে: আমপাতা সেদ্ধ পানি দিয়ে কুলি করলে মুখের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬. শ্বাসকষ্ট দূর হয়: ঠান্ডা, হাঁপানি ও অ্যাজমায় যারা ভুগছেন, তাদের জন্য আমপাতা উপকারী। আমপাতা ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে মধু মিশিয়ে খেলে কাশি দূর হয়।
৭. পেটের জন্য ভালো: গরম পানিতে কয়েকটি আমপাতা ছেড়ে দিয়ে সারা রাত ঢেকে রাখুন। সকালে ওই পানি ছেঁকে পান করুন কয়েক দিন। এতে পেট পরিষ্কার হবে। এছাড়া আমাশয় ঠেকাতে যাদুর মত কাজ করে আম পাতার গুঁড়া।
৮. পোড়া ক্ষত নিরাময় করে: পোড়া ক্ষত সারাতে আমপাতা পোড়ানো ছাই ক্ষততে লাগানো যেতে পারে।
৯. হেঁচকি ওঠা বন্ধ করে: যারা গলা ও নিয়মিত হেঁচকির সমস্যায় ভোগেন, তারা আমপাতা দিয়ে ধোঁয়া তৈরি করে তা গ্রহণ করতে পারেন।