বিশেষ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান মনিরুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) আসাদুজ্জামান।
আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মোঃ মনিরুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একজন অতি পরিচিত মুখ। বর্তমানে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শনিবার বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধানের পদে নিয়োজিত ছিলেন। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
মনিরুল ইসলাম যেমনি একজন দক্ষ (উর্ধ্বতন)পুলিশ অফিসার, তেমনি একজন আদর্শ শিক্ষক, একজন ভাল প্রশিক্ষক এবং একজন অভিভাবকও বটে। মনিরুল ইসলামের যোগ্য নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানায় সফল অভিযান পরিচালিত করতে সক্ষম হন গোয়েন্দারা। পরাস্ত হয় ‘এই সময়ের’ জঙ্গিরা। তারই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায়, মিরপুরের রুপনগরে এবং আজিমপুরেও সফল অভিযান পরিচালিত হয়।
মনিরুল ইসলাম তার যোগ্য নেতৃত্বে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটকে অল্প সময়েই বেশ এগিয়ে যায়। মনিরুল ইসলামের পেশাদারিত্ব, যোগ্যতা অর্জন, তার দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন, দেশে বিদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণ, সততা, নৈতিকতা ও আদর্শ দিয়ে পুলিশ বাহিনীকে নিয়ে যাচ্ছেন অনন্য উচ্চতায়।
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের কৃতি সন্তান মনিরুল ইসলাম ১৯৯৫ থেকে এখন পর্যন্ত মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন। বাংলাদেশে যখনই কোনও বড় ধরনের ঘটনা ঘটে, চাঞ্চল্যকর কিছু হয়, সেসময়ই টিভি ক্যামেরার মুখোমুখি হতে হয় তাকে।
চাকরি জীবনে অসামান্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন গুনী এই ব্যক্তি। বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ দমন ও নিয়ন্ত্রণে তিনি কার্যকরী ভূমিকা পালন করেন। অপরাধ দমনে কাজ করতে গিয়ে তিনি দেশ ও বিদেশে অসংখ্য ট্রেনিং ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন। কর্মজীবনে স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশ পদক ও রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক।
মনিরুল ইসলাম ১৯৭০ সালের ১৫ জুন গোপালগঞ্জ জেলার মোকসেদপুর থানায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৯৫ সালে ১৫ তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারে সহকারি পুলিশ সুপার হিসেবে পুলিশে যোগ দেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক।