নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য আগামী ২৫শে জুলাই দিন নির্ধারণ করেছে বার কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ।
২০২০ সালের ১৯ ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি যেসব পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তারা এই মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) অংশগ্রহণ করবেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব, জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শুধুমাত্র প্রবেশপত্র প্রদর্শন করে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে। পরীক্ষার সময়সূচি এবং স্থান অন্যান্য যাবতীয় বিষয় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে গত ২৯ মে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলে আইনজীবী তালিকাভুক্তকরণে শিক্ষানবিশদের লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফল প্রকাশ করা হয়। ওইদিন প্রকাশিত ফলাফলে পাঁচ হাজার ৩৩৫ জন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সচিব, জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর এবং পরে চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ৯টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় ১২ হাজার ৮৭৮ জন অংশ নেন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার ৩৩৫ জন উত্তীর্ণ হন।
এর আগে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পরীক্ষার প্রশ্ন জটিল এবং করোনার মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ করে অনেক পরীক্ষার্থী বিশৃঙ্খলায় জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের এবং অর্ধশতাধিক পরীক্ষার্থীকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
সেদিন পাঁচ কেন্দ্রে হাঙ্গামার পর সেই কেন্দ্রগুলোর পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। পরে কঠোর নিরাপত্তার সঙ্গে পরীক্ষা নেয়া হয় চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি।
বার কাউন্সিলে আইনজীবীদের সনদ পেতে নৈর্ব্যক্তিক, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। আবার ওই তিন ধাপের যেকোনো একটি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীরা একবার উত্তীর্ণ হলে পরবর্তী পরীক্ষায় তারা দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো অংশগ্রহণের সুযোগ পান।
তবে দ্বিতীয়বারও ফেল করলে তাদের আবার শুরু থেকেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। সে অনুসারে, ২০১৭ সালের ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো বাদ পড়া ৩ হাজার ৫৯০ জন শিক্ষার্থী এবং ২০২০ সালে প্রায় ৭০ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবীর মধ্যে নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৮ হাজার ৭৬৪ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২ হাজার ৮৫৮ জন সনদপ্রত্যাশী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।