বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ::
সিটিজেন নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকমের জন্য প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে। যারা আগ্রহী আমাদের ই-মেইলে সিভি পাঠান

আরও ছয় মাস বাড়তে পারে প্রাথমিকের ‘মিড ডে মিল’র মেয়াদ

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ জুলাই, ২০২১
  • ১৪৩ বার পঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পে আপাতত নতুন কোনো বরাদ্দ হচ্ছে না। বরাদ্দ ছাড়াই আগামী ছয় মাস এ প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যেতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে প্রস্তাব পাঠিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে অনুমোদন দেয়া হলে ‘মিড ডে মিল’ প্রকল্পে খিচুড়ির পরিবর্তে পুষ্টিকর বিস্কুট বিতরণ কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ‘মিড ডে মিল’ প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে আগামী ৩০ জুন। এমতাবস্থায় এ খাতে নতুন বাজেট দিচ্ছে না সরকার। খরচ কমানোর জন্য এ প্রকল্পের বিকল্প চিন্তা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু বিকল্প কী ব্যবস্থা রাখা হবে সেটার জন্য বছরখানেক পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। তাই ১ জুলাই থেকে আগের বাজেটের উদ্বৃত্ত অংশ থেকে প্রকল্পের কাজ চালিয়ে নেয়া হবে।

ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের স্কুল মিল কার্যক্রম চলমান রাখা পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্প্রসারণের জন্য ১৭ হাজার ২৯০ কোটি টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে একটি বিনিয়োগ প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছিল। সেই প্রস্তাব গত ১ জুন প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করা হয়নি। সভায় চলমান স্কুল মিল প্রকল্পটি পর্যালোচনা করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

যেহেতু চলমান স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি ৩০ জুন শেষ হবে। তাই জুলাই থেকে বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা সম্ভব হবে না। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়কালীন পুষ্টির অভাব পূরণ এবং ক্ষুধা নিবারণে স্কুল মিল প্রদান করা না হলে স্বাস্থ্যের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, চলমান মিড ডে মিল আরও ছয় মাস চালু রাখতে মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গত সপ্তাহে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটি অনুমোদন মিললে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে আরও ছয় মাস এ কার্যক্রম চালু রাখা হবে।

জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (উন্নয়ন) মো. আশরাফুজ্জমান জাগো নিউজকে বলেন, প্রকল্পের মেয়াদ শেষে অতিরিক্ত আরও ছয় মাস মিড ডে মিল কার্যক্রম চালিয়ে নেয়ার জন্য অনুমোদন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। যেহেতু এ প্রকল্পটি নিয়ে নানা ধরনের ভুল তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে, তাই এ বিষয়ে বেশি কিছু তথ্য না দিতে মন্ত্রী-সচিবের নির্দেশনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved  2019 CitizenNews24
Theme Developed BY ThemesBazar.Com