নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ করোনা সংক্রমণ বিস্তার-রোধে চলমান লড়াইয়ে সকলের সম্মিলিত উদ্যোগে অপরিহার্য বলে দাবি করেছেন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সর্দার বেলায়েত হোসেন মুকুল। করোনা সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতির অগ্রগতিতে চিকিৎসক, প্রশাসন ,জনপ্রতিনিধি, সামাজিক- সাংস্কৃতিক এবং স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন সমন্বিত উদ্যোগে কাজ করলে সংক্রমিত হওয়ার আগে প্রতিরোধের ভিত্তি তৈরি হবে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা ও মাস্ক ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য বিধি মানতে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম বলে জানান সরদার মুকুল।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনা ও অন্যান্য সরকারি কার্যক্রম সুসমন্বয়ের লকডাউন সার্বিক করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আলোকপাত করেন তিনি।
করোনা সংক্রমণের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় স্থানীয়ভাবে স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, করোনা ভাইরাসের ধরণ প্রতিনিয়তই পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের প্রতিবেশী দেশসহ এই অঞ্চলের দেশসমূহে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট প্রকট আকারে রূপ নিয়েছে। একসময় সাধারণ মানুষের ধারণা ছিলো করোনা শহরের মানুষের রোগ। কিন্তু এখন পরিস্থিতি উল্টো। করোনা ভাইরাস গ্রামে দারুণ আকারে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিস্তার-রোধে সীমান্ত উপজেলাসমূহে বিশেষ সতর্ক দৃষ্টি রাখা বিশেষ প্রয়োজন ।
করোনা রোগীদের জন্য সারাদেশে পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি করার ওপর গুরুত্বারোপ করে সরদার মুকুল বলেন, হাসপাতাল গুলোতে অক্সিজেন, সিসিও, আইসিও ও ভেন্টিলেটরসহ করোনা চিকিৎসার যে সব উপকরণের ঘাটতি আছে তা যথাসময়ে ব্যবস্থা করতে না পারলে বিপর্যয় থেকে এই জনপদকে রক্ষা করা কঠিন হবে।
সর্দার মুকুল বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সফলতার সাথে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সর্বাত্মক প্রয়াস গ্রহণ করেছেন এবং এযাবৎ প্রাণঘাতি করোণা মহামারির বিপর্যয় সফলতার সাথে মোকাবেলা করছেন। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে আমাদের চিকিৎসা সরঞ্জাম থেকে শুরু করে কোন কিছুর ঘাটতি নেই । ব্যবস্থাপনার অভাবে যেন সরকারের অর্জন ব্যর্থ না হয় সে দিকে আমাদের নজর রাখা প্রয়োজন। তিনি বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন, দফায় দফায় সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে জনগণকে উদবুদ্ধ করতে প্রতিটি এলাকায় জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা অপরিসীম।এ সংকট মোকাবেলায় আমাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। তিনি চলতি লকডা্উন সফল করতে প্রশাসনকে মানবিকতা ও কঠোরতার সমন্বয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন এ ছাড়া ও করোণা পরিস্থিতির ভয়াবহতা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ করে রাজধানী ঢাকাসহ উত্তরখান ও দক্ষিণখান এলাকার সকল সম্মানিত নাগরিকদের চলতি লকডাউন কঠোরভাবে মেনে চলা প্রয়োজন।