প্রবাস ডেস্ক : বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল কুনমিং চীনে আজ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে।
এ উপলক্ষে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে যথাযথ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। কোরআন থেকে তেলওয়াত, বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয়।
কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে তার সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন এবং আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং মহান স্বাধীনতার রূপকার। বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তি ও অধিকার আদায়ে পরিচালিত প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও স্বাধিকার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। বাঙালির অধিকারের প্রশ্নে বঙ্গবন্ধু ছিলেন আপসহীন।
বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং তারই নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বিজয় অর্জন করি। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তার নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন জাতির পিতার নাম প্রতিটি বাঙালির অন্তরে অক্ষয় হয়ে থাকবে।
কনসাল জেনারেল এ এফ এম আমিনুল ইসলাম ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট কালরাতে শাহাদতবরণকারী বঙ্গবন্ধু ও তার পারিবারের সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
শেষে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মভিত্তিক প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।