নিজস্ব প্রতিবেদক,সিটিজেন নিউজ: নারায়নগঞ্জ রুপগঞ্জে গুতিয়াব বাজার সংলগ্ন এলাকায় ক্ষমতার দাপটে সাধারন মানুষকে জিম্মি করে শত শত সম্পত্তি দখল করে অবৈধভাবে সী-শেল পার্ক তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আবার অনেকেই সর্বস্বান্ত হয়েছেন। সম্পত্তি দখলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই মিথ্যা মামলাসহ নানা ঝামেলার সম্মুখীন হতে হচ্ছে সাধানর মানুষের।এ বিষয়ে অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে সী-শেল পার্কটি প্রায় ২০ বিঘা সম্পত্তির উপর করা হয়েছে এবং পার্কের বাইরে প্রায় ৩০০ বিঘার মত সম্পত্তি জবর দখল রয়েছে। এরমধ্যে (ক) তপসিলে রয়েছে ৫০ বিঘা যাহা সরকারী সম্পত্তি এবং (খ) তপসিলে রয়েছে প্রায় ৬০ বিঘা, সাধারন মানুষের আছে প্রায় ১২০ বিঘা। এর মধ্যে ৪০ বিঘা কিনেছেন সী- শেল প্রপার্টিস, অন্যান্য ৭০ বিঘা সম্পত্তি ও সাধারন মানুষের। সর্বমোট=৩০০বিঘা। এই সম্পত্তিগুলো বাউন্ডারি করে রেখেছে শী-শেল প্রপার্টিস। এমনকি ঢুকতেও দিচ্ছে না কাউকে।
এভাবে সাধারন মানুষ কিংবা সরকারী সম্পতি দখল করার ক্ষমতার নানান কৌশল ব্যবহার করে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। এদিকে সাধারন জনগন অভিযোগ করে বলেন, প্রতিষ্ঠানটি কিছু সংখ্যক জমি ক্রয় করে এবং সেই জমি বালু দিয়ে ভরাট করাকালিন ভুক্তভোগিদের সম্পত্তি বালু ভরাট হয়ে পরে। ফলে এধরনের জমিতে চাষাবাদ সম্ভব না থাকায় অনেকেই কষ্টের দিন যাপন করছে আবার ভুক্তভোগীদের সম্পত্তিও দখল করে নিয়েছে। এনিয়ে সাধারন মানুষ কয়েকবার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করলে তাতেও লাভ হয়নি। উল্টো সী-শেল প্রপার্টিসের সন্ত্রাসী বাহীনি দ্বাড়া নিরহ মানুষের উপর হুমকিমূলক চাপ প্রয়োগ করে। এছাড়াও অনেকের সম্পত্তি জাল দলিলের মাধ্যম ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে বলে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী আফসার উদ্দিন নারায়নগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবর একটি মামলা করেন। যাহার নং- ২৮৮/১৮। এরকম অনেকেই সম্পতি ফিরিয়ে আনতে মামলাও করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যায়। তবুও তাদের হাতে জিম্মি দশায় থাকতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। এনিয়ে কিছুদিন আগে এলাকার মানুষ ক্ষিপ্ত হয়ে রুপগঞ্জ থানায় যায় এবং শুনে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দ্বায়ের করেছে শী- শেল প্রপার্টিসের ম্যানেজার মো: জয়নাল আবেদীন। এভাবেই হয়রানী করে আসছে এলাকার ভুক্তভোগীদের।
অন্যদিকে সী-শেল প্রপার্টি পার্কের মধ্যে একটি আবাসিক হোটেল রয়েছে। সেখানে আসামাজিক কার্যকলাপসহ নানান ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ড হয়ে থাকে বলে অনেকেই জানান। উক্ত সম্পত্তির মালিক মনু মিয়া তিনি বলেন, আমি ওই সম্পত্তির মালিক আমি থাকলে তাতে কি হয়েছে। ওরাতো আমাকে মিথ্যা মমলা দিয়ে আমার পরিবারটাকে ধংস করে দিয়েছে এবং এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু সম্পত্তিটি আমি একটি মাদ্রাসার জণ্য দান করে দিয়েছিলাম। সেখানে মাদ্রাসাও ছিল। সেই মাদ্রাসা ভেঙ্গে এখন আবাসিক হোটেল করেছে নরপিচাসের দল। সেখানে এখন অসামাজিক এবং মাদক বাণিজ্যে ভয়বাহ পরিনত হয়েছে। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করবেন না।
এবিষয়ে সী-শেল প্রপার্টিসের ম্যানেজার মো: জয়নাল আবেদীনের নিকট ফোন করলে সেটি বন্ধ পওয়া যায়।