শ্রমিক কল্যাণের পাওনা ৩০০ কোটি টাকার ১০৭টি মামলা থেকে বাঁচতে প্রায় ১৪ কোটি টাকা দিয়ে লবিস্ট ফার্মনিয়োগ দিয়েছেন প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম।
সরকারের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী আর আমলাদের সমন্বয়ের মাধ্যমে এই মামলা জিতিয়ে দেওয়ার চুক্তি সই করেছেন গ্রামীণ কল্যাণ আর ঢাকা লজিষ্টক ফার্ম। আর, তা অনুমোদন করেছেন ড. মোহাম্মদ ইউনূস।
মোবাইল অপারেটিং কোম্পানি গ্রামীণ ফোনের ৩৪ দশমিক ২০ শতাংশের মালিক নোবেলজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনুসের গ্রামীণ টেলিকম।
গ্রামীণ ফোনের কাছ থেকেই প্রতি বছর এই গ্রামীণ টেলিকম ডিভিডেন্ট পায় হাজার কোটি টাকার ওপরে। ২০১৯ সালেই তাদের ডিভিডেন্ট এসেছে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
কিন্তু এই সব ডিভিডেন্টের পাঁচ শতাংশ শ্রমিক কল্যাণকে দেওয়ার কথা থাকলেতা কোন দিনই দেয়নি গ্রামীণ টেলিকম।
এমন করে তা জমেছে ২০০৬ সাল থেকে। যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০কোটি টাকা। ফলে ক্ষুব্ধ কর্মীরা বকেয়া পাওনা চেয়ে মামলা করেছে।
রাজধানী ঢাকার শ্রম আদালতে সব মিলে ১০৭টি মামলা করা ড. মোম্মদ ইউনূসও গ্রামীণ টেলিকমের বিরুদ্ধে ।
১৪ জুন, ২০২১ পরিচালনা পরিষদের এক ভার্চুয়াল সভায় এই মামলাগুলো জিততেই ঢাকা লজিস্টিক সার্ভিসেস এন্ড সলিউশনের সঙ্গে চুক্তির বিষয় অনুমোদন দেওয়া হয়।
এই চুক্তি অনুসারে ঢাকা লজিস্টিক মামলাগুলোর রায় গ্রামীণ টেলিকমেরপক্ষে আনতে তিন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীকে এনগেইজ করার কথা বলা হয়েছে।
সঙ্গে সন্তুষ্ট করার কথা বলা হয়েছে মন্ত্রণালয়গুলোর সচিব, কল-কারখানাও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং শ্রমিকনেতাদেরও।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যমকে স্বাধীন ঘোষণার পর সাংবাদিক হত্যায় মত্ত তালেবান
এই পুরো কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যয় ধরা হয়ছে ১৩ কোটা ৮০ লাখ টাকা। আর, বোর্ড সভায় এই চুক্তির অনুমোদন দিয়েছেন স্বয়ং ড. ইউনূস।
এই বিষয়ে ঢাকা লজিস্টিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার রফিকুল ইসলাম এই কাজের সাথে তাদের সম্পৃক্ততার কথা নাকচ করেন।
তবে, এর আগেও মামলা করার অপরাধে ৯৯ জন কর্মীকে ছাঁটাই করে গ্রামীণটেলিকম। সেই মামলা জিততেও গ্রামীণ টেলিকম শ্রমআদালতে ঘুষ দেয়। সেটিও উল্লেখ করা আছে চুক্তিপত্রে। সূত্র: একাত্তর টিভি